অপুর মাথা ফেটে যাওয়ায় মাথায় ওষুধ লাগিয়ে দিচ্ছেন অবলাদেবী! ধীরে ধীরে মন গলছে তার শাশুড়ির
ভারতীয় সংস্কৃতিতে রথযাত্রা একটি সেরা উৎসব। এই উৎসবে সকলে সামিল হয়ে মেতে ওঠে। কিন্তু গত বছর থেকে করোনা অতিমারির কারণে জমায়েত না করার নির্দেশ থাকায় সেরকম ভাবে পালন করা হয়নি রথযাত্রা। প্রতিবারের মতন জমজমাট উৎসব না হলেও পুরী ও কিছু জায়গায় সামান্য নিয়ম রক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন সিরিয়ালেও দেখানো হয়েছে রথযাত্রা স্পেশাল পর্ব।বাদ যায়নি অপরাজিতা অপু ধারাবাহিক।
এদিকে অপরাজিতা অপু ধারাবাহিকেও দেখানো হয়েছে রথযাত্রা। কিন্তু সেখানে বেঁধে গেল গন্ডগোল। উত্তরপাড়া ও দক্ষিণপাড়া রথ নিয়ে মুখোমুখি হয়েছে।দীপু বলে, তারা সবাই একই দিকে যাবে। সুতরাং সবাই মিলে একসঙ্গেই যাওয়া হোক। কিন্তু জ্যাঠামশাই রাজি হন না। অপু দীপুকে সমর্থন করে বলে, দুই পাড়ার মানুষ ও কীর্তনীয়ারা মিলে একসঙ্গে ‘জয় জগন্নাথ’ বলতে বলতে এগিয়ে যাওয়ার কথা। কয়েকজন দীপুকে সমর্থন করলেও জ্যাঠামশাই রাজি হন না।
কিন্তু এর মাঝেই দীপুর স্ত্রী জানতে পারেন তখন তিনি অমলা দেবীকে বিদ্রুপ করে বলেন, অমলা দেবী এখন নিজের কথাগুলি পুত্রবধূদের দিয়ে বলাচ্ছেন। এরপর দিপু রেগে যান। কিন্তু জ্যাঠামশাই বলেন তারা দক্ষিণপাড়ার রথ নিয়ে আগে রাধাকৃষ্ণের মন্দিরে যাবেন। প্রতিবাদ করে ওঠেন অমলাদেবী।তখন দুই দলের মধ্যে লেগে যায় বসচা। অপু লক্ষ্য করে, একজন ব্যক্তি দীপুকে পাথর ছুঁড়তে উদ্যত হয়েছেন। দীপুকে বাঁচাতে গিয়ে অপুর মাথা ফেটে যায় পাথর লেগে। আপুর মাথা ফেটে যাওয়া দেখে দিপু ভীষণ রেগে যায় । সে দক্ষিণপাড়ার মানুষদের মারতে যায়। কিন্তু অপু তাকে থামিয়ে বলে, হিংসা নয়। অপু বলে বুদ্ধি দিয়ে লড়তে হবে।
এদিন বৌমার কপাল ফেটে রক্ত বেরোবে দেকিহে শাশুড়িমা তড়িঘড়ি করে অপুকে ওষুধ লাগাতে ব্যাস্ত হয়ে পরে। যা দেখে চক্ষু ছানাবড়া বাড়ির সদস্যদের। আর শ্বাশুড়ি বৌমার সম্পর্কের এমন উন্নতি দেখে রাগে জ্বলতে থাকে ভিলেন আন্টি ও অপুর এক জা। অবলা দেবী যখন অপুর মাথায় ব্যান্ডেজ লাগাচ্ছিলেন তখন অপু আগের ঘটনা চিন্তা করতে থাকে। শাশুড়ির এমন আদর পেয়ে সত্যিই ধন্য অপু।
View this post on Instagram