বিনোদন

পরীমনির ফূর্তি করার জায়গা—”হেরেমখানা, জলসাঘর, বাইজীঘর কিংবা রংমহলে” যারা নিয়মিত যেতেন

রাজা বাদশাদের সময় থেকেই চলে আসছে এরকম ফুর্তি করার জায়গা। যা পরিচিত হেরেমখানা, জলসাঘর, বাইজীঘর কিংবা রংমহল নামেও। একসময় রাজা -বাদশারা এসব জায়গায় গিয়ে নেশায় ও আনন্দ উল্লাসে মেতে থাকলেও এখন এই সব জায়গায় দেখা যায় উচ্চবিত্ত পরিবারের বখে যাওয়া অথবা সৌখিন শিল্পপতিদের। আর এই সব স্থানে এখন অভিনেত্রীদের দেখা পাওয়া অনেকটা স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশের উচ্চবিত্তদের এলাকা বলে পরিচিত বনানী ১৯/এ সড়কের ১২ নম্বর বাড়ির পাঁচতলাতে থাকেন অভিনেত্রী পরীমনি।আর ওই ৫ তোলা ফ্ল্যাটটি নামি দামী বিভিন্ন মোদের বোতল ও বারের আকারে সাজানো ছিল জানা গেছে এই বাড়িতেওই নিয়মিত বস্তু মদের আসর। রাতভর চলতো পার্টি আর গান বাজনা।

সূত্র মোতে জানা গেছে এখনো পর্যন্তই পরিমনির ওই পার্টিতে যেতেন বাংলাদেশের ১০ জন শিল্পপতি, পাঁচজন ব্যবসায়ী। একজন ব্যংকের কর্ণধার। সবমিলিয়ে মোট ১৭ -১৮ জনের একটি সিন্ডকেট -এর তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত,পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এমনকি ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন নায়িকা পরীমনি। আর চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ পরীমনির বাসায় এসব মাদক সরবরাহ করতেন

খন্দকার আল মঈন বলেন, অভিযান চলাকালে পরীমনি লাইভে এসে কেন এই উল্টোপাল্টা কথা বললেন এবং সেটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কিনা সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

র‌্যাব সূত্র জানায়, পরীমনি ও রাজসহ আটক চারজনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এর মধ্যে পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি ও রাজের বিরুদ্ধে মাদক ও পর্নোগ্রাফি আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে। আটক বাকি দুজন আশরাফুল ইসলাম দীপু ও সবুজ আলীও এসব মামলায় আসামি হবেন।

 

Back to top button