শাহরুখের কাছে ‘মেয়ে পটানো’র টিপস’ চাইলেন এক ভক্ত, যোগ্য জবাব দিলেন ‘রোমান্সের বাদশা’ কিং খান
বলিউডে তাকে ডাকা হয় কিং খান হিসেবে। তিনি পরিচত বলিউড বাদশা ও কিং অফ রোমানস্ নামেও। বলিউডের সুপারহিট তারকাদের মধ্যে প্রথমেই যার নাম মানুষের মুখে আসে তিনি হলেন শাহরুখ খান। বলিউডে পা রেখেছেন নিজের অদম্য ইচ্ছে আর অভিনয় ক্ষমতার মাধ্যমে। বলিউডে পা দিয়েই তিনি দিয়েছেন দর্শকদের একাধিক সুপারহিট সিনেমা উপহার। শাহরুখ নিজের ক্যারিয়ারে ৮০ টিরো বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
বলিউড সিনেমায় অভিনয় করে তিনি অর্জন করেছেন একাধিক পুরুস্কার। হিন্দি চলচ্চিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য তিনি জিতে নিয়েছেন চোদ্দটি ফিল্মফেয়ার পুরুস্কার। যার মধ্যে আটটি পুরুস্কারই হলো শ্রেষ্ট অভিনেতার পুরুস্কার। এছাড়াও হিন্দি সিনেমায় অসাধারণ অভিনয়ের জন্য ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী পুরুস্কার দেয়। এছাড়াও তিনি ভারতীয় সিনেমায় অভিনয়ের জন্য বিদেশ থেকেও ডক্টরেট সহ বিভিন্ন পুরুস্কার অর্জন করেছেন।
বলিউডে পা রেখে শুরুর দিকে শাহরুখ খান অভিনয় করেন খোল নায়কের চরিত্রে তার অভিনীত খল চরিত্র গুলি ব্যাপক হিট হয়। তার খল চরিত্রে অভিনয় করা সিনেমা গুলি হলো ডর (১৯৯৩), বাজীগর (১৯৯৩), ও আঞ্জাম। এরপর তিনি ‘দিল ওয়ালে দুলহানিয়া যে যায়েঙ্গে’ সিনেমায় রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় করে বলিউডে পরিচিতি পান রোমান্টিক হিরো হিসেবে।
তার পর তার ক্যারিয়ারে জুড়তে থাকে দিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯৭), কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮), মোহাব্বতে (২০০০), ও কভি খুশি কভি গম… (২০০১)। তিনি দেবদাস (২০০২)-এ মদ্যপ জমিদার পুত্র দেবদাস মুখার্জি, স্বদেশ (২০০৪)-এ নাসার বিজ্ঞানী, চাক দে! ইন্ডিয়া র মতো একের পর এক সুপারহিট সিনেমা।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় শারুখ খান ‘আস্ক এনিথিং তো এস আর কে’ -র আয়োজন করেছিলেন। আর সেখানে তিনি ভক্তদের বিভিন্ন প্রশ্নের দিয়েছেন জবাব। সেই সময় এক অনুরাগী তার কাছে জানতে চেয়েছিলো ‘স্যার , মেয়ে পটানোর টিপস দিন’। আর তখনি শারুখ খান সেই ভক্তের উদ্যেশ্যে বলেন “এই প্রশ্নোত্তর পর্বটি অভদ্রতার জায়গা নয়। শাহরুখ বলেন, আগে ‘পটানো’ শব্দটির বাইরে নারীর অস্তিত্ব ভাবতে শিখুন, তাঁদের সম্মান করতে শিখুন।”এরপর ওই নেটিজেন তার যোগ্য জবাব পেয়েই মন্তব্যত ডিলিট করে দেন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। তবে তৎক্ষণাৎ সেই মন্তব্যের স্ক্রিন শট ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।