নায়ক হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় হাতের ৬ টা আঙ্গুল, যার জন্য বহু কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছিল হৃত্তিক রোশনকে!
বলিউডের একজন অন্যতম নায়ক হলেন হৃত্তিক রোশন। যার নাম শুনলেই যেন বহু নারীর মনে তার ছবি ভেসে আসে। বহু নারীর স্বপ্নের পুরুষ হল হৃত্তিক। ছেলেদের চোখে ‘গ্রীক গড’।পুরুষরা জিমে ঘন্টার পর ঘন্টা ঘাম ঝরান হৃত্বিকের মত ফিজিক পাওয়ার জন্য। যতই দিন যাচ্ছে তত যেন অভিনেতার গ্ল্যামার বেড়েই চলেছে। কিন্তু একটা সময় হৃত্বিককে শুনতে হয়েছিল নানা কথা। তিনি কোনোদিন নায়ক হতে পারবেন না কারণ তাঁর ছ’টা আঙুল রয়েছে। করোনার এই কঠিন পরিস্থিতিতে যেন মানুষ কোনকিছুতে ভয় না পেয়ে এগিয়ে চলেন সেইজন্য বলিউডের চিত্রগ্রাহক বরিন্দর চাওলা-র শেয়ার করেছিলেন বছর তিনেক আগে তৈরী করা হৃত্বিকের একটি সাদা-কালো ভিডিও। সেখান থেকেই জানা যায় এই তথ্য।
হৃত্তিক রোশনের বর্তমানের সাফল্যের পিছনে রয়েছে এক অন্য রহস্য। বলিউড এখনকার যুগে যতই জাঁকজমকপূর্ণ হোক না কেন। এখনো সেখানে কিছু কিছু ব্যাপারে রয়েই গেছে কুসংস্কার। হৃত্বিকের হাতের ৬ টা আঙ্গুল দেখে রাকেশ রোশনকে অনেকেই বারণ করেছিলেন ছেলেকে নায়ক হিসাবে লঞ্চ করতে। কিন্তু তিনি কারো কথা শোনেননি। তারপর অভিনেতার প্রথম ছবিই বেশ সুপারহিট হয় ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’। কিন্তু এরপরেই হৃত্বিকের ক্যারিয়ার কিছুটা অন্ধকার নামে । ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই তাঁদের ছ’টা আঙুলের তত্ত্ব প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন। হৃত্বিক নিজেও প্রথমে ভয় পেলেও পরে নিজের চেষ্টায় ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন।তারপরেও অভিনেতা ‘কোঈ মিল গয়া’ ও ‘ধুম থ্রি’-র মতো ফিল্ম উপহার দিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিকে।
হৃত্ত্বিক একটা সময় নিজেকে খুব লুকিয়ে রাখতেন। তিনি বারবারই জয় করেছেন নিজের দুর্বলতাকে।হৃত্তিক আগে খুব তোতলা ছিলেন। মানুষের সত্যে বেশি কথা বলতেন না। নিজের তোতলামি সারানোর জন্য স্পিচ থেরাপিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী জোরে জোরে একটানা বই রিডিং শুরু করেছিলেন হৃত্বিক। টিআরপির ধীরে ধীরে কথা বলার জড়তা কেটে যায় হৃত্বিকের।
এর পাশাপাশি আরেকটা সমস্যায় পড়েন অভিনেতা। তিনি নাচ করতে পারতেন না। একসময় নিজেই ভর্তি হন কোরিওগ্রাফার সরোজ খান-এর ক্লাসে।হৃত্তিক এতটাই ভয় পেতেন যে প্রথমদিকে সরোজের সামনে নাচতে ভয় পেতেন হৃত্বিক।কিন্তু তাঁর পরিশ্রম একসময় তাঁকে ভারত তথা এশিয়ার বেস্ট ডান্সারদের অন্যতম করে তোলে। কোরিওগ্রাফার সরোজ খান হৃত্ত্বিককে সেরা ছাত্র বলে উল্লেখ করেন।