১৫ বছর পার করে ফেললো সুদীপার ‘রান্নাঘর’, দারুন জমজমাটি চলছে মহোৎসব ৭ দিন ধরে
জী বাংলায় একটি অতি জনপ্রিয় রিয়ালিটি হল ‘রান্নাঘর’। রোজ বিকেল ৪.৩০ বাজলেই সকলের ঘরে সুদীপা পৌঁছে যান তার রান্নাঘর আর দেখতে দেখতে সেই রান্নাঘর পার করে ফেললো ১৫ টি বছর। আর সেই ১৫ বছরের উৎসব পালন করার জন্য ৩ রা মে থেকে শুরু হয়েছে রান্নাঘরের মহোৎসব, এটি চলবে আগামী ৮ ই মে পর্যন্ত। আর সুদিপার এই রান্নাঘরে ৭ দিন ধরেই চলবে নানারকম খাওয়া দাওয়া ও নাচ গান ও জমিয়ে আড্ডা। সুদিপার সঞ্চালনায় এই শো বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। সকলেরই প্রিয় একটি রিয়ালিটি শো।
জি বাংলা রান্নাঘরের রানী সুদিপা চট্ট্যোপাধ্যায় টলিউডের একজন অন্যতম পরিচত মুখ। ২০১৫ সাল থেকেই পরিচালক অগ্নিদেব চট্ট্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি আইনি ভাবে বিয়ে করে নেন। অবশ্য অনেকদিনের সম্পর্ক তাদের। ২০০৮ থেকে শুরু হয় সম্পর্কের। সেই বছরই অগ্নিদেব এর বাড়ি যান প্রথম সুদিপা। গিয়ে সেখানে নরক পোষ্য কুকুর দেখে আনন্দে আত্ত্বহারা হয়ে যান সুদীপা। ব্যাস সেদিন থেকেই সিদ্ধান্ত নেন একসঙ্গে থাকার। শুরু হয় লিভ ইন সম্পর্ক।
রান্নার কথা বলতে গেলে ,সুদীপা স্বীকার করেছেন যে বংশীদার হাত থেকে তার রান্না শেখা। কিন্তু কে এই বংশীদা ?মহানায়ক উত্তম কুমারের সমস্ত পছন্দের রান্না যখন সুপ্রিয়া দেবী অর্থাৎ রেনুদি করতেন তখন এই বংশীদা নাকি সমস্ত কাজ সামলে দিতেন। সেখান থেকেই জি বাংলার রান্নাঘরের রানী সুদিপার হাতেখড়ি। অগ্নিদেবকে খু স্নেহ করতেন রেনুদি। সেই থেকেই শেখা যেমন রান্না করা তেমনি সংসার করা। ধৈর্য ধরে নাকি সংসার করতে হয়। এই শিক্ষা নিয়েই এখনো পরিচালক অগ্নিদেবের সঙ্গে চুটিয়ে সংসার করছেন সুদীপা।
সুদীপা এই রান্নাটা শিখেছে বংশীদার কাছ থেকে। এই বংশীদার কাছ হাত ধরে কত রান্না শিখেছেন সুদীপা। সুদীপার রান্না সকলের প্রিয়। সুদীপার যত্নে গড়ে তোলা এই রান্নাঘরে আজ লম্বা লাইন অতিথিদের। সকলেই অংশ গ্রহণ করতে চায়, নিজেদের স্পেশ্যাল রান্না সকলের সামনে তুলে ধরতে চায়।আজও জি বাংলার এই শো জনপ্রিয়। সেইজন্যেই পনেরো বছরের জন্মদিন মহা ধূমধাম করে পালন হচ্ছে সুদীপার রান্নাঘরে। ছোট পর্দার ও বড় পর্দার বহু শিল্পীদের দেখা যাবে এই শোতে। মেনুতে থাকছে বিভিন্ন ঘরানার খাবার, থাকছে মজা, নাচ, গান হইহুল্লোড় আরো কত কি।