১ কাপ কফিও বিক্রি করতে পারিনি, আক্ষেপ জানালেন টলিউড সুপারস্টার মিঠুন
চলছে গত দুই বছরে করোনা মহামারির কারণে করোনা মহামারি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই ধাক্কা এখনও সামলে উঠতে পারেননি পর্যটন ব্যবসায়ীরা। অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। করোনায় কীভাবে ‘ডিস্কো ড্যান্সার’-এর রেস্তোরাঁর ব্যবসা ধাক্কা খেয়েছে, এমনকি এক কাপ কফি বিক্রি করতে গিয়েও যে বেগ পেতে হয়েছে, সেই কথাই জানালেন মিঠুন।
ফিল্মি ক্যারিয়ারের পাশাপাশি রেস্তোরাঁর ব্যবসাও রয়েছে মিঠুনের। এ কথা হয়ত অনেকেরই জানা। দক্ষিণ ভারতে একাধিক হোটেল রয়েছে তার। সেখান থেকেও একটা মোটা অঙ্কের টাকা আয় হয় অভিনেতার। কিন্তু মহামারি সব হিসাব ওলট-পালট করে দিয়েছে, বলছেন মিঠুন। বড় দুঃসময় কেটেছে তার পরিবারের। লকডাউনে এমন দিনও গিয়েছে, যে দিন তার রেস্তোরাঁয় এক কাপ কফিও বিক্রি হয়নি। কিন্তু পুরো সংসারের বিলাসবহুল জীবনযাত্রার পাশাপাশি ব্যবসার রক্ষণাবেক্ষণেও প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। কীভাবে সামলেছেন? সেই বিষয়েই এবার কালার্স চ্যানেলের রিয়ালিটি শো হুনারবাজ-এ এসে মুখ খুললেন বিচারক মিঠুন।
অভিনেতার আক্ষেপ, পুরো মহামারি আবহে পর্যটন শিল্প সরকারের পক্ষ থেকে কোনোরকম সমর্থন পায়নি। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়েছে। লকডাউনের দিনগুলোতে দিনমজুররা কীভাবে পেট চালাবেন, সেকথা চিন্তা করে ভয়ে কেঁপে উঠতাম।
যেহেতু মিঠুন একাই পুরো সংসার চালান, তিনি ছাড়া তার পরিবারে আর কারও উপার্জন নেই, তাই মহামারিতে খুব দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়েছিল অভিনেতাকে। কীভাবে সংসার চালাবেন, সেটাই ছিল তার একমাত্র চিন্তা। এরপর রেস্তোরাঁর লোকসানের পরিমাণ যখন হাতের বাইরে চলে গেল, মিঠুন তার কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘যা কামাই হয় তার সবটা নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নিও। আমি আমারটা চালিয়ে নেব।’ কারণ কর্মীদের পরিবারকেও রক্ষা করতে হবে।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই অর্থাভাব দেখেছেন মিঠুন। একটু খাবার জন্য মুম্বাইয়ের বড়বড় পার্টিতে নাচ করতেন তিনি। সামান্য পয়সা বাঁচানোর জন্য হেঁটে কাজের জায়গায় যেতেন। তাই কর্মীদের অর্থাভাবের দিনগুলোতেও তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।