স্বামী দীপঙ্করকে ‘বাবা’ বলে ডাকতে হবে, সিরিয়াল থেকে বাদ পড়লেন অভিনেত্রী দোলন
দীর্ঘদিনের লিভ ইন সম্পর্কের পর ২০২০ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা দীপঙ্কর দে ও অভিনেত্রী দোলন রায়। এই দুই তারকার বয়সের পার্থক্যটা চোখে পড়ার মতো।
দীপঙ্কর যখন দোলনের গলায় মালা দেন তখন তার বয়স ছিল ৭৫ বছর। যা এখন প্রায় ৮০ ছুঁয়েছে। অন্যদিকে দোলনের বিয়ের সময় বয়স ছিল ৪৯ বছর। যা বর্তমানে ৫৩। ফলে এই দম্পতির বয়সের পার্থক্য ২৬ বছরের।
একই ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় দুই যুগ ধরে কাজ করলেও ইদানিংকালে একসঙ্গে স্ক্রিনশেয়ার করতে দেখা যায় না তাদের। কিন্তু এর পেছনে কী কারণ? সেটাই সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে খোলাসা করেছেন দোলন রায়।
অভিনেত্রী জানান, স্টার জলসায় শুরু হতে যাওয়া মেগা সিরিয়াল ‘বঁধূয়া’য় অভিনয়ের কথা ছিল। সবকিছু চূড়ান্ত হওয়ার পরেও দীপঙ্করের জন্য কাজ হারান তিনি!
দোলন বলেন, ‘আমাকে বঁধুয়ায় প্রধান একটা চরিত্রের জন্য নেওয়া হয়েছিল। তারা আমাকে জিজ্ঞেস করল, দীপঙ্কর দা কী কাজ করবে? সবারই একটা সুপ্ত ইচ্ছে থাকে তার সঙ্গে কাজ করার। আমি বললাম, কথা বলে দেখো। কারণ সে তো নিজের শর্তে কাজ করে। তারা কথা বলল। দীপঙ্করও রাজি হলো। সবকিছুই ঠিক ছিল। কিন্তু পরদিনই হুট করে আমাকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হলো, এই সিরিয়ালে তারা আমাকে নিতে পারছেন না।’
সিরিয়ালে দোলনকে নেওয়া হয়েছিল বাড়ির বড় বউমার চরিত্রে, অন্যদিকে দোলনের শ্বশুরমশাইয়ের ভূমিকায় থাকবেন দীপঙ্কর। ফলে স্বামীকে পর্দায় ‘বাবা’ বলে ডাকতে হবে দোলনকে। যেটার কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হতে পারে ট্রলের সৃষ্টি। সেই আশঙ্কা থেকেই নাকি দোলনকে বাদ দিয়েছেন নির্মাতারা।
আক্ষেপ করে অভিনেত্রী বললেন, ‘তারা বলল, দীপঙ্কর শ্বশুরের চরিত্র করবে, তুমি তো বড় বউমার চরিত্র করতে। সারাক্ষণ তুমি স্ক্রিনে যদি বাবা বাবা করে ডাকো, তাহলে প্রচণ্ড ট্রল হবে। যার কারণে তোমরা দু’জন একসঙ্গে এই সিরিয়ালে স্ক্রিন শেয়ার করতে পারবে না।’
পর্দায় বয়সের পার্থক্যের প্রভাব পড়লেও বাস্তবে কখনোই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি তাদের সম্পর্কে। কারণ টলিউডের জনপ্রিয় এই দম্পতির প্রেমের শুরু সেই ১৯৯৭ সালে। এরপর প্রায় ২২ বছরের সম্পর্কে ছিলেন দু’জনে। ২০২০ সালে নিজেদের গলায় মালা দিয়ে বর্তমানে সুখে সংসার করছেন এই দম্পতি।