টলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ছোটবেলার বন্ধু সঞ্জয় চক্রবর্তীকে বিয়ে করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে মুন্সিগঞ্জে তাদের বিয়ে হয়। সঞ্জয় এখন একজন সফল ব্যবসায়ী এবং সিঙ্গাপুরে থাকেন। অন্যদিকে, ঋতুপর্ণার কর্মক্ষেত্র মূলত কলকাতায়, তাই তাকে সিঙ্গাপুর-কলকাতা যাতায়াত করতে হয়।
স্বামীর পদবী ‘চক্রবর্তী’ থাকা সত্ত্বেও ঋতুপর্ণা তা গ্রহণ করেননি। কেন?
এক সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণা বলেছিলেন, “আমি চিরকাল সেনগুপ্ত ছিলাম এবং সেনগুপ্তই থাকব। এটা আমার জন্মের সময়কার পদবী। কিছু-কিছু সরকারি নথিতে যদিও আমার চক্রবর্তী পদবীটাই ব্যবহার করা আছে। তবে সিনেমায় আমাকে পরিচিতি দিয়েছে এই সেনগুপ্ত পদবী। তাই একে আমি কোনওদিনই নিজের থেকে আলাদা করতে পারব না।”
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর পিতার পদবী রাখার সিদ্ধান্ত অনেকের কাছে অনুপ্রেরণার। এখনও পর্যন্ত বহু নারী এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না যে তাঁরা কোন পদবী ব্যবহার করবেন। তাঁদের কাছে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এক জ্বলন্ত উদাহরণ।
২০২৪ সাল ঋতুপর্ণার জন্য দারুণভাবে শুরু হয়েছে। তিনি ‘ম্যাডাম সেনগুপ্ত’ ছবিতে অভিনয় করছেন। পরিচালক সায়ন্তন ঘোষালের এই ছবি সম্পর্কে বেশ আশাবাদী টলিকুইন। ঋতুপর্ণা পরিচালক সুমন ঘোষের ‘পুরাতন’ ছবিতেও কাজ করেছেন, যেখানে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করছেন কিংবদন্তি শর্মিলা ঠাকুর। এছাড়াও, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ৫০তম ছবি ‘অযোগ্য’তেও শুটিং সেরে ফেলেছেন ঋতুপর্ণা।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত একজন প্রতিভাবান অভিনেত্রী, তাঁর অভিনয় দক্ষতার জন্য তিনি দর্শকদের কাছে সমাদৃত। তিনি একজন সাহসী নারীও, যিনি নিজের পরিচয় টিকিয়ে রাখার জন্য সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
