বিনোদন

সোনার ব্রেসলেট তৈরী করেছিলেন নাম দিয়ে , জেনেনিন বাপ্পি লাহিড়ীর কাছে কত সোনা আছে?

শুধু গানই নয়, বাপ্পি লাহিড়ির স্টাইলও ছিল নজরকাড়া। তিনি ছিলেন বরাবরই পপ, হিপহপ গানের ভক্ত। তাই পাশ্চাত্যের হিপহপ গায়কদেরই অনুসরণ করতেন। চোখে সানগ্লাস, পরনে ঝলমলে পোশাক, শরীরে স্বর্ণের গহনায় ভরা, গলায় ঝুলন্ত পান্নাখচিত স্বর্ণের গণেশ লকেটে দেখা যেত তাকে। শুধু তাই নয়, কনসার্টের সময় স্বর্ণের চেইন পরতেন এলভিস। তাকে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ভারতের ডিস্কো কিং।

তবে শুধু ফ্যাশনের জন্য নয়, বাপ্পি লাহিড়ির কাছে স্বর্ণ ছিল লাকি। যখনই কোনো গান বা অ্যালবাম হিট করতো, তখনই স্বর্ণ কিনতেন বাপ্পি। এভাবেই তার সংগ্রহে একে একে জমা হয় নতুন নতুন স্বর্ণের গয়না। প্রতিদিনই নিয়ম করে স্বর্ণের গয়না বদল করে পরতেন তিনি। গলায় ঝুলত আটটি স্বর্ণের চেইন।

বাপ্পি লাহিড়ি নিজেই যত্ন করতেন তার স্বর্ণের। কেউ তার স্বর্ণের কালেকশন ছুঁয়ে দেখুক, একেবারেই পছন্দ ছিল না তার। স্বর্ণের প্রতি এতটাই ভালোবাসা ছিল বাপ্পি লাহিড়ির।

২০১৪ সালে ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগ দেন বাপ্পি লাহিড়ি। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন, সেই অনুযায়ী মোট ৭৫৪ গ্রাম স্বর্ণের মালিক কিংবদন্তি এ সংগীত পরিচালক।

বাপ্পি লাহিড়ির মৃত্যুর পর অনুরাগীদের মনে প্রশ্ন জেগেছে এত স্বর্ণের এবার কী হবে, কারা পাবেন? সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাপ্পি লাহিড়ির মেয়ে রিমা ও ছেলে বাপ্পা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাবার সব স্বর্ণ সংরক্ষণ করবেন।

বাপ্পি লাহিড়ি ঠিক যেভাবে তার স্বর্ণের কালেকশন সুন্দর বাক্সের মধ্যে সাজিয়ে রাখতেন, সেভাবেই রাখতে চাইছে তার পরিবার। ভবিষ্যতে সংগ্রহশালা তৈরির প্ল্যানও রয়েছে বলে জানা গেছে।

Back to top button