বলিউডে কাঙ্খিত সাফল্য হাতে আসেনি। তবে ‘সীতা রামাম’, ‘হাই নান্না’র মতো জনপ্রিয় দক্ষিণী সিনেমার দৌলতে দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছেন ম্রুণাল ঠাকুর। বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ৬ বছর কাটিয়ে ফেলার পড়েও পরিচালকরা চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে তাকে কাস্ট করতে ব্যর্থ, আক্ষেপ নায়িকার।
বরাবরই স্পষ্টবক্তা ম্রুণাল। তাই স্টার কিডদের প্রতি মিডিয়ার মাতামাতি নিয়ে ক্যারিয়ারের শুরুতে রুখে দাঁড়িয়েছিলে তিনি। অভিষেক তেলুগু সিনেমা ‘সীতা রামাম’-এর সুবাদে লাইমলাইটে উঠে আসলেও বলিউডে এখনও শক্ত মাটি খুঁজে পাননি শাহিদের জার্সি কো-স্টার। ম্রুণাল মানেই অনায়াস, অকপট। এবার বডি শেমিং নিয়ে প্রতিবাদী অভিনেত্রী। শরীর নিয়ে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে তাকেও। সেই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ে এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
এক সাক্ষাৎকারে ম্রুণাল জানান, এক পরিচালক একবার মুখের উপর তাকে জানান- ‘ম্রুণাল তুমি দেখতে একটুও সেক্সি নও’। নায়িকা পাল্টা জানতে চেয়েছিলেন, এটা কি তার অভিনীত চরিত্রটির জন্য করা মন্তব্য নাকি পরিচালক বাস্তব জীবনে ম্রুণালকে দেখে এ কথা বললেন। পরিচালক জবাব দেন, ‘হ্যাঁ, খুব সেক্সি একটা চরিত্র। তুমি তো এর ধারে কাছেও নেই।’
সহজভাবে কথা হজম করার পাত্রী নন ম্রুণাল। পরিচালককে লুক টেস্ট নেওয়ার কথা বলেন অভিনেত্রী। ফটোশুটের শুরুতে ফটোগ্রাফারও অপমান করতে ছাড়েননি ম্রুণালকে। বলে ওঠেন, ‘এই গেঁয়ো মেয়েটা কে?’ তখনও মুখে জবাব দেননি ম্রুণাল তবে কাজে দিয়েছিলেন। পরে মত বদলে ক্ষমা চান ওই ফটোগ্রাফার।
ম্রুণালের কথায়, অভিনেতা হিসাবে জরুরি হল ন্যাচারাল থাকা। হাসিমুখে বলেন, ‘যখন সেক্সি কথাটা বলা হয়, আর সেটা যদি আমি ভাবি, তাহলে আমার পায়ের মরা চামড়াও তখন সেক্সি লাগবে।’
যৌন আবেদন ব্যাপারটা সবার কাছে সমান নয় জানান অভিনেত্রী। ম্রুণাল যোগ করেন, ‘আমি একবার একটা গান করেছিলাম। সেখানে লোকজন বলছিল আমাকে ওজন কমাতে হবে। আমি পাল্টা বলি, আমার থাই মোটা এবং সেটা একান্ত আমার নিজের। সেটা নিয়ে যদি আমার কোনও সমস্যা না হয়, তাহলে আপনাদের সমস্য়াটা কোথায়?’
কিছুদিন আগেই ম্রুণালের ব্যক্তিগত জীবনও উঠে এসেছিল চর্চায়। ব়্যাপার বাদশার সঙ্গে তার প্রেমের জল্পনা আগুন গতিতে ছড়িয়েছিল। যদিও তা আগেই মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন গায়ক।
