মোজা কেটে হাতের গ্লাভস, পাড়ার দর্জির তৈরি গাউন পরেই মিস ইউনিভার্স খেতাব জিতেছিলেন সুস্মিতা সেন
চিরকালই নিজস্ব পথে হাঁটেছেন সুস্মিতা সেন। অল্প বয়সে সিঙ্গল মা হিসেবে সন্তান দত্তক নেওয়া থেকে শুরু করে বিয়ে না করা – সব ক্ষেত্রেই তিনি ভিন্ন।
১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন সুস্মিতা। সেই একই বছর ঐশ্বর্য রাই বচ্চন মিস ওয়ার্ল্ডে অংশ নেন। ঐশ্বর্য তখন অনেক বেশি জনপ্রিয় ছিলেন, সুস্মিতার তুলনায় অনেক বেশি মডেলিং করে ফেলেছিলেন।
সুস্মিতার আত্মবিশ্বাস কমে গিয়েছিল। মিস ইউনিভার্স থেকে নাম গুটিয়ে নেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন।
কিন্তু ভারতবাসীকে হতাশ করেননি তিনি। নিজেকে শক্ত করে মিস ইউনিভার্সে অংশ নেন। ছকের বাইরে হেঁটেছিলেন।
সেই সময় বিখ্যাত ডিজাইনারদের পোশাক পরার চল ছিল। কিন্তু সুস্মিতা দিল্লির এক পাড়ার দর্জিকে দিয়ে তৈরি করিয়েছিলেন তাঁর গাউন।
অন্তিম পর্বে হাতের গ্লাভসও ছিল অত্যন্ত কম দামের। সুস্মিতার মা সেই গ্লাভস তৈরি করেছিলেন মেয়ের জন্য।
এমন পোশাক পরেই মিস ইউনিভার্স খেতাব জিতেছিলেন সুস্মিতা। জেতার পর তিনি বিশ্বাসই করতে পারেননি।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার আগে ভারতের প্রথম মহাকাশচারী রাকেশ শর্মার কৃতিত্ব তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছিল। সুস্মিতার মনে সেই বাসনা জন্মেছিল, তিনিও ভারতীয় হিসেবে প্রথম কিছু করতে চেয়েছিলেন।
জানতেন মিস ইউনিভার্সে অংশগ্রহণ করে তিনি যদি জেতেন, তা হলে তিনিই হবে প্রথম ভারতীয় মিস ইউনিভার্স।
ফলে প্রতিযোগিতা জেতার পর আনন্দে আত্মহারা হয়ে হাত দিয়ে মুখ ঢেকেছিলেন সুস্মিতা। তার হাত দিয়ে মুখ ঢাকার সেই ছবি এবং ভিডিয়ো গোটা দুনিয়ায় চিরকালীন ভাইরাল।
সুস্মিতা সেন আমাদের কাছে শুধু একজন বিশ্বসুন্দরীই নন, তিনি অনুপ্রেরণা। ছকের বাইরে হেঁটে, নিজের স্বপ্ন পূরণ করে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন যে সবকিছু সম্ভব।