বিনোদন

প্রতিজ্ঞা ভেঙে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়েছিলেন কাজল, শ্যুটের আগে ঠিক কী ঘটেছিল?

দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে পর্দায় চুম্বন না করার নীতি ভেঙে ‘দ্য ট্রায়াল’-এ অ্যালি খানের সঙ্গে চুম্বন করেছিলেন কাজল। ওয়েব সিরিজটি মুক্তির আগেই সেই চুমুর দৃশ্য ভাইরাল হয়েছিল। সম্প্রতি সেই চুমু প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন অ্যালি খান।

অ্যালির কথায়, “কাজল একজন ভীষণ পেশাদার অভিনেত্রী। সেটে কোনোও বিষয়েই আমাদের কোনও সমস্যা হয়নি বা সে কোনও অ্যাটিটিউড দেখাননি।”

কাজলের সঙ্গে সেই চুমুর দৃশ্যকে পুরোটাই পেশাদার বলে বর্ণনা করেছেন অ্যালি। তাঁর কথায়, “যখন সেই দৃশ্য শ্যুট করা হয়েছিল তখন সেটে পেশাদার পরিবেশই ছিল। আমি আমার স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে বসেই সেই দৃশ্য দেখতে পেরেছি। যখন দৃশ্যটির শ্যুট হয়েছিল, তখন পুরো বিষয়টি এতটাই বাস্তব ছিল যে কেউ কোনও আপত্তি জানাননি।”

কীভাবে শ্যুটিং হয়েছিল, সেটার বর্ণনা করতে গিয়ে অ্যালি বলেন, “আমরা মুম্বইয়ের এক আভিজাত হোটেলে শুটিং করছিলাম। পরিচালক জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে আমরা একটা বন্ধ সেট চাই কিনা, যার মানে শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতেই শ্যুটিং হবে কিনা? আমি পরিচালক ও কাজল দুজনকেই জিজ্ঞেস করেছিলাম যে আমরা কীভাবে চুম্বনের দৃশ্যে যাচ্ছি… কিন্তু এক সেকেন্ডের জন্যও কোন লজ্জা, বিব্রত বা দ্বিধা ছিল না। এটা পেশাদার শুটিং ছিল। যখন আমাদের কাজ শেষ হয়েছিল তার আগে আমরা তিন বা চারবার মহড়া দিয়েছি। আমরা মনিটরের কাছে গিয়ে একে অপরকে জিজ্ঞেস করেছি আমরা খুশি কিনা তারপর আবারও করেছি। কাজল বললেন, ‘থ্যাং ইউ মাই ডার্লিং’।”

অ্যালির কথায়, “আমার ধারণা ছিল না যে কাজলের এমন কোনও নীতি ছিল। আমি যখন চিত্রনাট্য পড়ছিলাম, তখনই দেখি যে সেখানে একটা চুমুর দৃশ্যও রয়েছে। এখানে আসলে একটা তিলকে তাল করা হয়েছে। সেটে আসলে এটা কোনও বড় ব্যাপারই ছিল না। যেভাবে শ্যুট করা হয়েছে এবং উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে এটা ক্যামেরাতেও এটা কোনও বড় ব্যাপার ছিল না।”


“মজার বিষয় হল যে আমি যখন এটা আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম, তখন আমরা থাইল্যান্ডে বেড়াতে গিয়েছিছিলাম। তখন সবে মহররমের শুরু, তাই বললাম আশুরার পর দেখা যাক। আমরা যখন দ্য ট্রায়াল দেখা শুরু করলাম, আমি ও আমার স্ত্রীর সোফায় বসে ছিলাম এবং আমার মেয়ে অন্য সোফায় ছিল। চুম্বনের দৃশ্য এল ও চলে গেল, আর ওরা আমার দিকে তাকালো এবং আমিও ওদের দিকে তাকালাম এবং আমরা দেখতে থাকলাম। এটা নিয়ে কেউই আলাদা করে ভাবেনি। ওদের কেউই তখন বিষয়টা এভাবে ভাবেনি যে এটা আমার বাবা বা আমার স্বামী। কেউ হাসেও নি। একজন দর্শক হিসাবে বিষয়টা বিশ্বাসযোগ্য ছিল, তাই এটাতে কোনও অসুবিধা হয়নি।”

অ্যালির কথায়, “আমি মনে করি কাজলের জন্য এই চুম্বন একটা বড় সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু সে এটাকে খুব ভালোভাবেই সামলেছে। সে একজন খুবই প্রতিভাবান অভিনেত্রী এবং সে তার কাজের প্রতি খুবই নিবেদিত।”

Back to top button