‘পুরুষের প্রথম বউয়ের চেয়ে তৃতীয় বউ আরও ইয়াং..’ : তসলিমা
বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরুষতান্ত্রিক সমাজের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
তিনি কাঞ্চন মল্লিক ও অনুপম রায়ের তিন-তিনটে বিয়ে এবং বাংলাদেশে ৬০ বছরের মোস্তাকের সঙ্গে ১৮ বছরের তরুণী তিশার বিয়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে পুরুষদের ভাগ্যের প্রশংসা করেছেন।
তিনি লিখেছেন, “পুরুষের যত বয়স বাড়ে, তত তাদের জীবন মধুর থেকে মধুরতর হয়ে ওঠে। তাদের প্রথম বউয়ের চেয়ে দেখা যায় দ্বিতীয় বউ বেশি ইয়ং এবং বেশি সুন্দরী, দ্বিতীয় বউয়ের চেয়ে তৃতীয় বউ আরও বেশি ইয়ং এবং আরও বেশি সুন্দরী। মেয়েদের বেলায় উল্টো, যত বয়স বাড়ে, তত নিরাপত্তাহীনতা বাড়ে, তত একাকীত্ব বাড়ে।”
তিনি আরও লিখেছেন, “আল্লাহ এবং ভগবানের প্রশ্রয়ে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ যতদিন টিকে থাকবে, নারী পুরুষের সমানাধিকার ততদিন মাচায় তোলা থাকবে।”তসলিমা নিজের ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছেন। তিনি বলেছেন, তার তিনটি বিয়ে তার কর্মজীবনকে ম্লান করে দিয়েছে।
তিনি বাংলাদেশের ‘সবচেয়ে বড় ইন্টেলেকচুয়াল’ সলিমুল্লাহ খানের উইকিপিডিয়া পাতার উল্লেখ করে বলেছেন যেখানে তার ব্যক্তিগত জীবনের তথ্য, যেমন তার ডিভোর্স এবং সন্তানের কথা উল্লেখ করা হয়নি।তিনি প্রশ্ন করেছেন, “ভাবছি যারা তথ্য দেয়, তাদের মাথায় কী কাজ করে নারীর বেলায়, কী কাজ করে পুরুষের বেলায়?”
তসলিমা বলেছেন, বিবাহিত জীবন তার কাছে গুরুত্বহীন এবং তিনি কতগুলো পুরুষের নাম তার নামের সাথে জড়াতে চান না।তিনি বলেছেন, “আমি বেশ কয়েকবার এডিট করেছিলাম, সঙ্গে সঙ্গে কে বা কারা যেন পুনরায় বসিয়ে এসেছে নাম। কী অদ্ভুত এই দুনিয়া!”তসলিমার এই পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।
কিছু লোক তার সমালোচনাকে সমর্থন করেছে, আবার অনেকেই তার মন্তব্যকে ‘পুরুষ বিদ্বেষী’ বলে অভিহিত করেছে।তবে তসলিমা স্পষ্ট করে বলেছেন যে তিনি পুরুষদের বিদ্বেষ করেন না, বরং পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার সমালোচনা করেন।**তিনি বলেছেন, “নারী পুরুষের সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পুরুষদেরও এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াত