‘পর্দায় রামচরণকে অন্য নায়িকার সঙ্গে প্রেম করতে দেখলে কান্না পেত’, জানালেন উপাসনা
দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা রামচরণ। গত বছরই কন্যা সন্তানের বাবা হয়েছেন তিনি। বিয়ের ১০ বছরের মাথায় রামচরণ ও তার স্ত্রী উপাসনার সংসার আলো করে এসেছে একটি ফুটফুটে সন্তান।
অভিনয়ে ব্যস্ত সময় পারলেও সংসার জীবনে বেশ সুখী এই দম্পতি। বিবাহিত জীবনের প্রায় এক যুগ কাটিয়ে ফেলেছেন একই ছাদের নিচে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেতার স্ত্রী জানিয়েছেন, স্বামীকে নিয়ে প্রচণ্ড ‘পজেসিভ’ তিনি। যে কারণে অন্য কোনো নায়িকার সঙ্গে রামচরণকে দেখলে মন খারাপ হয়ে যায়।
শুধু তাই নয়, উপাসনা জানান- পর্দায় রামচরণকে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখলে অস্বস্তি হয়। বসে থাকতে পারেন না টিভির সামনে। উঠে চলে যান সেখান থেকে।
ওই সাক্ষাৎকারে অভিনেতার স্ত্রী জানান, রামচরণের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার আগে কোনোভাবেই তিনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তার বাড়িতে সকলেই চিকিৎসক কিংবা ব্যবসায়ী। সেখান থেকে বিয়ের পর একদম নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়াটা বেশ কঠিন ছিল।
উপাসনার ভাষায়, ‘আমার শ্বশুর চিরঞ্জীবী ছিলেন দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির বর্ষীয়ান অভিনেতা। স্বামী তেলুগু সিনেমার প্রথম সারির নায়ক। তাদের মাঝে নিজেকে শুরুর দিকে খুব বেমানান মনে হতো। তবে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিয়েছি।’
পর্দায় স্বামীকে অন্য নায়িকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে দেখলে কষ্ট পেতেন উপাসনা। অভিনেতার স্ত্রী বলেন, ‘বিয়ের প্রথম দিকে পর্দায় রামচরণকে অন্য নায়িকার সঙ্গে প্রেম করতে দেখলে কান্না পেত।’
বিষয়টি অভিনেতা স্বামীকে জানিয়েছিলেন তিনি। জবাবে উপাসনাকে রামচরণ বলেছিলেন, ‘এটা আমার পেশা। আমি তো অভিনয় করছি, এর বেশি কিছু নয়।’
উপাসনার দাবি, আমাকে কিছু মেনে নিতে হয়নি। মানিয়ে নিতে হয়নি। আমাদের মধ্যে বিশ্বাস ছিল। আমি বিশ্বাস করি, পর্দায় রামচরণ যাই করুক, তাকে আমার সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি মানায়। অন্য কারো সঙ্গে নয়।