নিজেকে লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে তুলনা করে কী বোঝালেন কঙ্গনা রানাউত?
বিয়ের অনুষ্ঠানে অঢেল টাকায় গানের আমন্ত্রণ পেলেও তাতে আগ্রহ ছিল না কিংবদন্তী শিল্পী লতা মঙ্গেশকরের; তার এই দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্বের সঙ্গেই এবার নিজেকে মেলালেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, “একসময় চরম অর্থকষ্ট দেখেছি। কিন্তু লতাজি ও আমার, দুজনেরই প্রচুর জনপ্রিয় গান রয়েছে। কিন্তু আমি কোনো দিন বিয়ের অনুষ্ঠানে পারফর্ম করিনি।”
বিয়ের অনুষ্ঠানে গান করতে প্রয়াত লতা মঙ্গেশকরের ব্যাপক অনীহার বিষয়টি আলোচনায় আসে ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির ছেলের বিয়ে পূর্ব অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে।
ওই অনুষ্ঠানে সুদূর মার্কিন মুলুক থেকে উড়ে এসে গান করেছেন জনপ্রিয় পপতারকা রিয়ানা, নিয়েছেন ৫২ কোটি টাকা । পাশাপাশি সেখানে গান করেছেন অরিজিৎ সিং, দিলজিৎ দোসাঞ্জসহ অনেকে।
সেখানে বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ থেকে শুরু করে নামকরা সব অতিথিদের সমাগম ঘটে। বলিউডের জনপ্রিয় সব তারকা সেখানে হাজির হলেও দেখা যায়নি কঙ্গনা রানাউতকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, আম্বানি পরিবারের নিমন্ত্রণ পেয়ে হোক, বা না পেয়ে, বিয়ের অনুষ্ঠানে তারকাদের মেলা থেকে দূরে থেকে কঙ্গনা যেন নিজের ব্যক্তিত্বের পক্ষেই সাফাই গাইছেন এখন।
আনন্দবাজার লিখেছে, আম্বানি পরিবার কিংবা কোনো তারকার নাম না নিলেও বিয়ের নিমন্ত্রণে যাওয়া তারকাদের ‘একহাত নিয়েছেন’ এই অভিনেত্রী।
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লতা মঙ্গেশকরকে নিয়ে একটি খবরের শিরোনাম শেয়ার করেন কঙ্গনা; যাতে লেখা- ‘৫০ লাখ টাকা দিলেও আমি আসব না, গান গাইতে নারাজ ছিলেন লতা’।
এরপর কঙ্গনা লেখেন, “দৃঢ় ব্যক্তিত্বের অধিকারী না হলে টাকা এবং প্রচারের আলোকে না বলা যায় না।”
মূলত আম্বানি পরিবারে তারকাদের মেলা নিয়ে হুলস্থুল কাণ্ডের মধ্যে লতা মঙ্গেশকরের জীবনের গল্পটি আলোচনায় আসে।
ঘটনাটি এমন ছিল যে, একবার এক ধনকুবের লতা মঙ্গেশকরের কাছে বিয়ে বাড়িতে গান গাওয়ার প্রস্তাব পাঠালেন। লতার সেই গানের পারিশ্রমিক ধরা হয়েছিল প্রায় ১০ লাখ টাকা । কিন্তু লতা মঙ্গেশকর সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, ৫০ লাখ দিতে চাইলেও কোনো লাভ নেই। লতা মঙ্গেশকরের এই ঘটনাটি জানান তার বোন সংগীত শিল্পী আশা ভোঁশলে।
নাচের রিয়েলিটি শোয়ে আশা বলেছিলেন, “দিদিকে একবার বলা হয়, ‘আপনি দুই ঘণ্টার জন্য দর্শন দিয়ে যান, আপনাকে চেক পাঠিয়ে দিচ্ছি।’ দিদি সঙ্গে সঙ্গে না করে দেন। এরপর আর কেউ অবশ্য তাকে সেই প্রস্তাব দেওয়ার সাহস করেনি।”