দক্ষিণি নির্মাতারা জানেন দর্শক কী চান : রানি মুখার্জি
কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ ভারতের সিনেমা ও হিন্দি সিনেমার মধ্যে যেন অদৃশ্য এক প্রতিযোগিতা চলছে। ২০২২ সালে হিন্দি সিনেমা যখন বেহাল, তখন একের পর এক ব্লকবাস্টার হিট উপহার দিয়েছিল দক্ষিণি সিনেমা। ২০২৩ সালে হিন্দি সিনেমা ঘুরে দাঁড়িয়েছে বটে, তবে এখন দুই সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির তুলনা নিয়মিতই হয়। দক্ষিণ ভারত ও বলিউডের অনেক তারকা এ প্রসঙ্গে নিজেদের মত দিয়েছেন। এবার এ প্রসঙ্গে কথা বললেন রানি মুখার্জি। সম্প্রতি মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত এফআইসিসি ফ্রেমস মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি কনফারেন্সে যোগ দিয়ে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া সিনেমা নিয়ে কথা বলেন তিনি। খবর ভ্যারাইটির
ভারতে বরাবরই বক্স অফিসে আধিপত্য দেখায় হিন্দি সিনেমা। কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটে ২০২১-২০২২ সালে। এ সময় ‘আরআরআর’, ‘কানতারা’, ‘পোন্নিইন সেলভান’, ‘বিক্রম’-এর মতো সিনেমা দাপট দেখায়। তবে দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায় বলিউড।
গত বছর বক্স অফিসে সাফল্য পাওয়া শীর্ষ দশ সিনেমার মধ্যে ছিল ‘সালার’, ‘জেলার’ ও ‘লিও’। তবে এখানেও একটা ‘কিন্তু’ আছে। বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য পাওয়া দুই হিন্দি সিনেমা ‘জওয়ান’ ও ‘অ্যানিমেল’ বানিয়েছেন দুই দক্ষিণি নির্মাতা অ্যাটলি কুমার ও সন্দীপ রেড্ডি ভাংগা।
এ প্রসঙ্গে রানি মুখার্জি বলেন, তাঁরা (দক্ষিণি নির্মাতা) জানেন দর্শক কী চান। এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানিয়ে অভিনেত্রী বলেন, সম্ভবত তাঁরা খুব সহজভাবে ভাবতে পারেন, এমন গল্প বেছে নেন, যার সঙ্গে সবাই একাত্মতা অনুভব করতে পারেন। সহজবোধ্য গল্প বলার এই প্রবণতা দর্শককে আকৃষ্ট করে।
দিক্ষিণি নির্মাতাদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে রানি আরও বলেন, ‘আমি অনেক দক্ষিণি নির্মাতার সঙ্গে কাজ করেছি, তাঁদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। দক্ষিণের সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো, তাঁদের একতা।
তাঁরা সবকিছুতে একতাবদ্ধ থেকে, একে অন্যকে সমর্থন করে। আমি এমন অনেক অনুষ্ঠানে গেছি, যেখানে এক নির্মাতা আরেক নির্মাতার সিনেমার ট্রেলার বা অ্যালবাম প্রকাশ অনুষ্ঠান হাজির হয়েছেন। এটা হিন্দি সিনেমার ক্ষেত্রেও হয়। কিন্তু আপনি যখন দক্ষিণি নির্মাতাদের সঙ্গে কথা বললেন, বুঝবেন তাঁরা কতটা বিনয়ী। হিন্দি সিনেমা থেকে তাঁরা শিখেছেন, এটা তাঁরা বরাবরই স্বীকার করেন।’