বিনোদন

জওয়ান’ নির্মাতা অ্যাটলির জীবনের অজানা গল্প জেনেনিন

যার নির্মিত সিনেমা নিয়ে এখন গোটা বিশ্বে হইচই, বক্স অফিসে বইছে সুনামি, এক যুগ আগে তিনি নিজেও এমনটা কল্পনা করেননি। অবিশ্বাস্য সেই উত্থানের নায়ক অ্যাটলি কুমার। পেশাদার জীবনে তিনি নির্মাতা হলেও নিজের সফল জীবনে সত্যিকার অর্থেই তিনি নায়ক। ৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে অ্যাটলি কুমার পরিচালিত নতুন সিনেমা ‘জওয়ান’। যার মুখ্য ভূমিকায় আছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। ইতিমধ্যে বিশ^ব্যাপী এর আয় ছাড়িয়ে গেছে ৯০০ কোটি টাকা । হিন্দির পাশাপাশি তামিল-তেলুগু ও আন্তর্জাতিক বাজারেও চুটিয়ে ব্যবসা করছে ছবিটি। সেই সুবাদে দর্শক-সমালোচকের চর্চায় রয়েছেন অ্যাটলিও। ২১ সেপ্টেম্বর ছিল অ্যাটলির জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে তার সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। কীভাবে তিনি সাধারণ এক তরুণ থেকে ভারতের সফলতম নির্মাতা হয়ে উঠেছেন, সে কথাই উঠে এসেছে এই প্রতিবেদনে :

শুরুর গল্প

১৯৮৬ সালের এই দিনে তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে জন্ম অ্যাটলির। আসল নাম অরুণ কুমার। সিনেমার স্বপ্নটা ছোটবেলা থেকেই দেখেছেন। সেই লক্ষ্যে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে শুরু করেন কাজ। তামিল নির্মাতা শংকরের ‘এথিরাম’ (২০১০) ও ‘নানবান’ (২০১২) সিনেমায় সহকারী ছিলেন। এর ফাঁকে ২০১১ সালে অ্যাটলি ‘মুগাপুথাগাম’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করে বেশ প্রশংসা কুড়ান।

জওয়ানের কারিগর

মেধা তার ছিলই, বছর দুয়েক হাত পাকিয়ে তাই নেমে পড়েন সিনেমা নির্মাণে। তার প্রথম সিনেমা ‘রাজা রানি’ মুক্তি পায় ২০১৩ সালে। রোমান্টিক-কমেডি ধাঁচের এই ছবি দিয়ে শুরুতেই বাজিমাত করেন অ্যাটলি। ছবিটি বক্স অফিসে সুপারহিট হয়। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সিনেমা বানিয়েছেন, আর সেগুলো বক্স অফিসে পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছে। তামিল সুপারস্টার থালাপতি বিজয়কে নিয়ে পরপর তিনটি সিনেমা পরিচালনা করেন অ্যাটলি। এগুলো হলো ‘থেরি’, ‘মেরসাল’ ও ‘বিগিল’। তিনটি সিনেমাই বিপুল সাফল্য পেয়েছে। ছবিগুলো দিয়ে বিজয়ের জনপ্রিয়তাও পৌঁছে যায় অনন্য উচ্চতায়।

ফ্যানবয় থেকে শাহরুখকে নির্দেশনা

সহকারী নির্মাতা হিসেবে অ্যাটলি যখন সবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, তখন একবার মুম্বাইয়ে এসে শাহরুখ খানের বাড়ি ‘মান্নাত’র সামনে হাজির হন। শাহরুখকে এক পলক দেখতে হাজারো ভক্তের একজন হয়ে অপেক্ষা করেন। আর ১৩ বছর পর সেই শাহরুখ খানই তার সিনেমার নায়ক।

নিন্দার কাঁটা

ভালোবেসে অভিনেত্রী কৃষ্ণা প্রিয়াকে বিয়ে করেছেন অ্যাটলি। সেটা ২০১৪ সালে। অ্যাটলির গায়ের রং কালো হলেও তার স্ত্রী সুদর্শনা, ফর্সা। আর এ কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলের শিকার হয়েছিলেন তারা। তাদের ছবি পোস্ট করে অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করেছিল। তবে দুজনের মধ্যে ভালোবাসার ভিতটা ছিল মজবুত। তাই সব নিন্দা পেরিয়ে এখন তারা অনুসরণীয় দম্পতি হয়ে উঠেছেন। এখন তাদের ভালোবাসা ও উত্থানের গল্প ইতিবাচকরূপে ভেসে বেড়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

‘জওয়ান’-এর অসামান্য সাফল্যের সুবাদে অ্যাটলির চাহিদা এখন তুঙ্গে। স্বাভাবিকভাবে প্রস্তাবও আসছে প্রচুর। তবে তার ইচ্ছে একটি বিশেষ সিনেমা ঘিরে। যেখানে একসঙ্গে অভিনয় করবেন শাহরুখ খান ও থালাপতি বিজয়। কারণ এই দুজনের মাধ্যমেই তিনি সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছেন।

Back to top button