বিনোদন

গায়ক নয়, ভিখারী হতে চেয়েছিলেন অরিজিৎ সিং! কেন জানেন? শুনলে অবাক হবেন আপনিও

অরিজিৎ সিং, ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক। তার গানের সুর এবং কণ্ঠস্বর শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায়। কিন্তু জানেন কি, এত ভালো গান গাওয়ার প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও অরিজিৎ গায়ক হতে চাননি? তিনি চেয়েছিলেন ভিখারী হতে।

অরিজিৎ সিংয়ের জন্ম ১৯৮৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায়। তার বাবা ছিলেন একজন গাড়িচালক এবং মা ছিলেন একজন গৃহিণী। অরিজিতের ছোটবেলা থেকেই গান গাওয়ার প্রতি ভালোবাসা ছিল। তিনি স্কুল এবং কলেজ জীবনে বিভিন্ন সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং পুরস্কারও পেয়েছিলেন।

২০১২ সালে অরিজিৎ সিংয়ের জীবনের মোড় ঘুরে যায়। তিনি ফেম গুরুকুল নামক একটি সংগীত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন এবং দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। এই প্রতিযোগিতা থেকে অরিজিতের গান গাওয়ার দক্ষতার কথা মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তিনি বলিউডে প্লেব্যাক গাওয়ার সুযোগ পান।

বলিউডে অরিজিৎ সিংয়ের যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সালের ছবি “মর্দ কো দোবারা” দিয়ে। এই ছবির “তুমহি পে ইয়ে গানা” গানটি অরিজিতের জন্য প্রথম বড় সাফল্য। এরপর তিনি “কবির সিং”, “আশিকি ২”, “বজরঙ্গি ভাইজান”, “রাজি”, “কেজিএফ: চ্যাপ্টার ১” সহ একাধিক হিট ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

অরিজিৎ সিংয়ের গানের জনপ্রিয়তা শুধু ভারতে নয়, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারও জিতেছেন। কিন্তু এতকিছুর পরেও অরিজিৎ মনে করেন যে, তিনি যদি ভিখারী হতেন তাহলে আরও বেশি মানুষকে সাহায্য করতে পারতেন।

অরিজিৎ সিং তার ভাগ্যের পরিবর্তন সম্পর্কে বলেন, “আমার জীবনের মোড় ঘুরে যাওয়ার জন্য আমি ভাগ্যবান। কিন্তু আমি মনে করি, যদি আমি ভিখারী হতাম তাহলে আরও বেশি মানুষকে সাহায্য করতে পারতাম। কারণ ভিক্ষাবৃত্তি করে আমি সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়াতে পারতাম এবং মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা শুনতে পারতাম।”

অরিজিৎ সিং একজন প্রতিভাবান গায়ক। তার গান মানুষের মনে সুখ-দুঃখের নানা অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। কিন্তু তিনি মনে করেন যে, তার গানের চেয়েও তার সাহায্যের হাত মানুষের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

Back to top button