কৌশানীর সাফল্য দেখে কি হিংসে হয় বনির? রাগ ঢাক না করে স্পষ্ট উত্তর অভিনেতার

টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি বনি সেনগুপ্ত ও কৌশানী মুখোপাধ্যায়। অনস্ক্রিন হোক বা অফস্ক্রিন—এই জুটির কেমিস্ট্রি দর্শকদের বরাবরই মুগ্ধ করেছে। বর্তমানে তাঁদের নতুন ছবি ‘হাঙ্গামা.কম’ চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এরই মধ্যে মুক্তির অপেক্ষায় কৌশানীর আরেক ছবি ‘কিলবিল সোসাইটি’।
গত বছর থেকেই কৌশানীর কেরিয়ারে যেন দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হয়েছে। রাজ চক্রবর্তীর ওয়েব সিরিজ ‘আবার প্রলয়’-এ নজর কাড়ার পর, কিছুদিন কাজের বিরতি থাকলেও, ২০২৪-এ মুক্তি পাওয়া ‘বহুরূপী’ তাঁকে আবার আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে আসে। তাঁর গান ট্রেন্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
অন্যদিকে, বনির কেরিয়ার তুলনামূলকভাবে কিছুটা ছায়ায়। এ প্রসঙ্গে TV9 বাংলার এক সাক্ষাৎকারে বনিকে প্রশ্ন করা হয়—কৌশানীর এত সাফল্যে তিনি কি হিংসে অনুভব করেন?
বনি হেসে উত্তর দেন:“আমি এমন একটা পরিবারে বড় হয়েছি, যেখানে সিনেমা জগতের উত্থান-পতন খুব কাছ থেকে দেখেছি। আমার বাবা পরিচালক, মা অভিনেত্রী। ছোট থেকে শিখেছি—জীবনে সাফল্য-ব্যর্থতা দুটোই ভাগ করে নিতে হয়। তাই কৌশানীর সাফল্যে আমি গর্বিত।”
তিনি আরও বলেন—“‘কিলবিল সোসাইটির’ প্রথম গান রিলিজ হতেই আমি কৌশানীকে মেসেজ করেছিলাম। যদিও ওর কান্নাকাটির রিঅ্যাকশন দেখে একটু মন খারাপ হয়েছিল। কিন্তু আমি জানি ওর কষ্ট কতটা, তাই ওর সাফল্যে আমি সত্যিই খুশি।”
বনি-কৌশানীর বিয়ে নিয়ে জল্পনা সবসময়ই তুঙ্গে। কিন্তু সেই প্রসঙ্গে অভিনেতা বলেন—“মানুষ সবসময় জানতে চায় আমরা কবে বিয়ে করব। আমি বলি, কৌশানীর এখন কেরিয়ার দারুণ চলছে, আমিও নিয়মিত কাজ করছি। দুজনেই ব্যস্ত। বিয়ে অবশ্যই করব, তবে সঠিক সময়ে।”
বনি ও কৌশানীর সম্পর্কে প্রেম যেমন আছে, তেমনই গভীর বন্ধুত্বও। বনির মতে—“আমি হিংসে করি না, কারণ আমি কৌশানীর স্ট্রাগল খুব কাছ থেকে দেখেছি। সাফল্য আসাটা ওর প্রাপ্য। একজন সঙ্গী হিসেবে ওর প্রতি আমার গর্ব হওয়াটাই স্বাভাবিক।”
এভাবেই পারস্পরিক শ্রদ্ধা আর সমর্থনে গড়ে উঠেছে এই জুটি। পর্দার বাইরে তাঁদের সম্পর্কের এই দিকটাই হয়তো তাঁদের সবচেয়ে আলাদা করে তোলে।