কুড়িয়ে পাওয়া মেয়ের দত্তক নেন মিঠুন চক্রবর্তী, অতঃপর বদলে যায় দিশানীর ভাগ্য
ভারতের সিনেমা জগতের কিংবদন্তী তারকা মিঠুন চক্রবর্তী। টলিউড থেকে বলিউড, দুই ইন্ডাস্ট্রিতেই রাজ করেছেন যিনি। ব্যক্তিজীবনে যোগিতাকে বিয়ে করেছেন এই তারকা। এই দম্পতির সংসারে রয়েছেন তিন ছেলে। তাদের বাইরেও রয়েছে এক কন্যা। যার নাম দিশানি চক্রবর্তী। মিঠুনের দত্তক কন্যা তিনি।
জানা যায়, কলকাতার এক ডাস্টবিনের পাশে একটি কন্যা শিশু পড়ে থাকতে দেখেন পথচারী। পুলিশ খবর পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে। তারপর ওই শিশুকে রাখা হয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দায়িত্বে। সেখান থেকেই বাড়িতে নিয়ে আসেন মিঠুন-যোগিতা।
নাম দেন দিশানী। পরবর্তীকে আইনি কাগজপত্রে সই করে দিশানীকে দত্তক নেন এই দম্পতি। সেই থেকে দিশানী চক্রবর্তী পরিবারের চোখের মণি। সকলেই তাকে প্রচণ্ড ভালবাসেন, আগলে রাখেন। বিশেষ করে মিঠুন।
সেই দিশানি চক্রবর্তী এখন আর ছোট নেই। বাবার পথ ধরে অভিনয়ে নাম লেখিয়েছেন। জোর কদমে ক্যারিয়ার শুরুর আগে নিজেকে তৈরি করতে পাড়ি জমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। নিউ ইয়র্ক ফিল্ম অ্যাকাডেমিতে অভিনয়ের ওপর স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছেন তিনি। আপাতত সেখানেই বসবাস করছেন দিশানি।
নিউ ইয়র্কে প্রথম বর্ষ শেষ করার পর স্থানীয় মঞ্চনাটকে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান দিশানি। অস্কার পুরস্কারপ্রাপ্ত মার্কিন অভিনেতা আল পাচিনো তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। ২০২১ সালের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের লি স্ট্র্যাসবার্গ থিয়েটার ইনস্টিটিউটে প্রদর্শিত হয় দিশানির এই নাটক। এটি নির্দেশনা দেন কেমবারলি হ্যারিস।
এর আগে, ২০১৭ সালে ‘হোলি স্মোক’ শিরোনামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হয় দিশানির। তা ছাড়াও ‘আন্ডারপাস’, ‘সুটেবল এশিয়ান ডেটিং উইথ পিএমবি’ নামে দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন দিশানি।
স্নাতক শেষ করার পর যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বিজ্ঞাপন ও ‘দ্য গেস্ট’ শিরোনামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্রে কাজ করেন দিশানি। পাশাপাশি নিজেও চিত্রনাট্য রচনা করছেন।
বাবা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে দিশার দারুণ সম্পর্ক। বাবার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন। তা জানিয়ে দিশা বলেছিলেন, ‘বাবার মূল্যবান এত পরামর্শ আমি গ্রহণ করেছি যে, তা দিয়ে একটি বই রচনা করা যাবে।’
বলিউডে অভিষেকের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কিছু জানাননি দিশানি। তবে বেশ কয়েকবার গুঞ্জন উঠেছে, বলিউডে পা রাখতে যাচ্ছেন তিনি। গুঞ্জন কী সত্যি হচ্ছে? সেটা হয়তো সময়ই বলে দেবে।