‘ওর আশেপাশে থাকলেই বিপদ’! যে স্বভাবের জন্য টলিউডের অন্দরে বেশ ‘বদনাম’ কোয়েল মল্লিক
তারকাসন্তান হলেও নিজের অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মনে আলাদা করে স্থান করে নিয়েছেন কোয়েল মল্লিক। বাবা রঞ্জিত মল্লিকের মতোই তিনিও টলিউডের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
২০০১ সালে ‘নাটের গুরু’ ছবির হাত ধরে টলিউডে পা রাখেন কোয়েল। এরপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ‘অগ্নিপথ’, ‘মাস্টারমশাই আপনি কিছু দেখেননি’, ‘বড় বাড়ি’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’, ‘অভিমান’, ‘একা’, ‘অপারেশন সুন্দরবন’, ‘মিতিন মাসি’ সহ একাধিক জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
কোয়েলের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন সমালোচক থেকে দর্শক সকলেই। তাঁর অভিনয়ের মধ্যে সহজাততা ও অন্তরঙ্গতা রয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।
প্রাণখোলা স্বভাবের কোয়েল সবসময় হাসিঠাট্টায় মেতে থাকতে পছন্দ করেন। শ্যুটিং সেটেও সবাইকে নিয়ে হইহুল্লোড় করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে আপনি কি জানেন, মিশুকে কোয়েলের কিন্তু একটা বদ অভ্যাসও রয়েছে। যা নিয়ে নাকি টলিউডের অন্দরে বেশ ‘বদনাম’ রয়েছে অভিনেত্রীর।
বেশ কয়েক বছর আগে বাবা রঞ্জিত মল্লিকের সঙ্গে জনপ্রিয় টক শো ‘অপুর সংসার’এ হাজির হয়েছিলেন কোয়েল। সেখানেই কথার মাঝে সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় বলে ওঠেন, কোয়েল আবার খামচাচ্ছে। ওঁর পাশে একটু বসার উপায় নেই। ওঁর থেকে দূরে থাকাই ভালো।
শাশ্বতর মুখে একথা শুনে একগাল হাসি নিয়ে বাবা রঞ্জিত মল্লিককে খামচে দিতে যান কোয়েল। তা দেখে হেলে ওঠেন শাশ্বত। অভিনেত্রীর এই অভ্যাসের কারণে নাকি তাঁর থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন অনেকে।
সবার সামনে কোয়েলের বদ অভ্যাসের কথা ফাঁস হয়ে গেলেও কোয়েল অবশ্য এর কোনও প্রতিবাদ করেননি। বরং জানা যায়, অভিনয়ের সময়েও নাকি অভ্যাসবশত খামচে দেন তিনি! পর্দায় যেমন কোনও মজার দৃশ্য থাকলে তখন খামচে ওঠেন অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, টলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের মধ্যে একজন হলেও বিয়ের পর থেকে ছবি করা অনেকটা কমিয়ে দিয়েছেন কোয়েল। চিত্রনাট্য পছন্দ হলে তবেই সেই সিনেমা গ্রহণ করেন তিনি।
কোয়েলের সাফল্যের কারণ হল তাঁর অভিনয়ের দক্ষতা। তিনি যেকোনো চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন। তাঁর অভিনয়ের মধ্যে সহজাততা ও অন্তরঙ্গতা রয়েছে। এছাড়াও, তাঁর প্রাণখোলা স্বভাব ও হাসিঠাট্টাপ্রিয়তা তাঁকে দর্শকদের কাছে আরও কাছে নিয়ে আসে।
কোয়েল এখনও টলিউডের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তিনি এখনও বেশ কিছু ছবিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন। তাঁর অভিনয়ের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল বলে মনে করা হয়।