আমারো আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করেছে, বললেন সানি লিওন
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন প্রযুক্তি তারকাদের কাছে এখন হুমকিস্বরূপ। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পর্নো বা আপত্তিকর ভিডিও।
গত বছর ভারতের বেশ কজন তারকা অভিনেত্রীর ‘ডিপফেক’ ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এ তালিকায় রয়েছেন- রাশমিকা মান্দানা, ক্যাটরিনা কাইফ, কাজল প্রমুখ। এবার বলিউড অভিনেত্রী সানি লিওন জানালেন, তারও ডিপফেক বা আপত্তিকর ভিডিও তৈরি করে নেট দুনিয়ায় ছড়ানো হয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডেকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সানি লিওন। এ আলাপচারিতায় প্রযুক্তির অপব্যবহারের বিষয়টি উঠে আসে। এসময় তিনি বলেন, ‘এটি একটি হুমকি, যা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এটি সাম্প্রতিক ইস্যু নয়। সত্যি বলতে, আমাকে নিয়েও ডিপফেক (আপত্তিকর) ভিডিও তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আমি বিষয়টি নিয়ে মানসিকভাবে প্রভাবিত হতে দিইনি। তবে কম বয়সী অনেক মেয়ে আছে, যারা এ সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। তারা বুঝতে চায় না, এতে তাদের কোনো দোষ নেই; তাদের কোনো ভুল নেই।’
পরামর্শ দিয়ে সানি লিওন বলেন, ‘কম বয়সী কোনো মেয়ের সঙ্গে যদি এমন খারাপ কিছু ঘটে, তবে তারা যেন সাইবার সেলে যোগাযোগ করে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে যেন নিজের সমস্যার কথা খুলে বলে। তাদের যেন বলা হয়, আপনার পরিচয় কিংবা ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তা ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ জানালেও প্রযুক্তিগত সহায়তা পাওয়া যায়। সিস্টেমটাই আপনার পক্ষে, শুধু আপনাকে এটুকু কাজ করতে হবে।’
ডিপফেক বা আপত্তিকর ভিডিও প্রসঙ্গে ফ্যাক্ট চেকিং ওয়েবসাইটগুলো দাবি করেছে, এসব ভিডিও এআই-এর সাহায্যে পরিবর্তন করা হয়। এ ধরনের টুল ব্যবহার করে, অন্য কারো মুখ ভিডিওতে বসানো যায়। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হয় এবং অনেকে এগুলোকে সত্যিকারের ভিডিও মনে করেন।
এক সময় পর্নো দুনিয়া কাঁপানো সানি লিওন ‘বিগ বস’ রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে ভারতীয় শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন। এরপর ‘জিসম টু’র মাধ্যমে বলিউড সিনেমায় নাম লেখান। পরবর্তী সময়ে ‘জ্যাকপট’, ‘রাগিনি এমএমএস টু’, ‘এক পহেলি লীলা’, ‘মস্তিজাদে’ প্রভৃতি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।