রানাঘাট স্টেশন থেকে সোজা মুম্বাইয়ের রেকর্ডিং স্টুডিওতে জায়গা করে নিয়েছিলেন রানু মন্ডল । সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে বর্তমানে করোনার দুর্যোগে দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলিউড থেকে টালিউডের তারকারা। এমনকি সেই তালিকা থেকে বাদ যাননি রানু মন্ডলও।
রানু মন্ডল দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। নিজের এলাকার গরিবদের মাঝে চাল, ডাল বিতরণ করেছেন তিনি। কিন্তু এবার এলো দুঃসংবাদ। আবারও অভাবের মধ্যে পড়েছেন রানু। মাস দুয়েক আগেও তার ঘরে খাবারের সংকট ছিলো না, তখন অন্যদের তিনি খাবার দিয়েছেন। আর এখন তার ঘরেই তৈরি হয়েছে খাবারের সংকট।আবারো অনাহারে দিন কাটছেন রানুর।
তাকে নাকি আগের রানুর মতোই লাগছে। কারণ বর্তমানে তার দিন কাটছে চিড়া,মুড়ি খেয়ে। তবে সেই চিড়া মুড়ি তার নিজের টাকায় কেনা নয়, পাড়াপ্রতিবেশীরা তাকে প্রত্যেকদিন দেন। আর যেদিন না দেয় সেদিন তাকে না খেয়ে থাকতে হয়। অবাক করার মতো বিষয়, রাতারাতি যেমন সেলিব্রিটি হয়েছিলেন রানাঘাটের রানু। এভাবেই চোখের পলকে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড থেকে তার নাম মুছে যেতে চলেছে।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যম তার খোঁজ নিতে গিয়েছিলো রানাঘাট স্টেশন সংলগ্ন তার বাড়িতে। সেখানে গিয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় তিনি এখন কেমন আছেন ? উত্তরে তিনি বলেন যে তাকে মাঝে মধ্যেই বাসি ভাত খেয়ে কাটাতে হচ্ছে আর এই বাসি ভাত খাওয়ার কারণেই তার শরীরে বাঁধছে বিভিন্ন অসুখ।আর তিনি তখন ভগবানকে তীব্র গালাগালি করেন আর তখনি তার সব অসুখ সেরে যায়। তিনি ক্যামেরার সামনে ভগবানকে ‘কানা’ বলেও সম্বোধন করেন।
এছাড়াও গত বছরের পুজোর থিম সং গাওয়ার পর এবার তার হাতে সেরকম কোনো অফার আছে নাকি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন যে এই বছর তার হাতে অনেক কাজের অফার আছে কিন্তু লোকজনের অভাবে তিনি সেসব স্থানে যেতে পারছেন না। এরপর তাকে বলিউডের সুরকার হিমেশ রেশমিয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ না হলেও হিমেশ রেশমিয়া তার সহকারী তপন বাবুর সাথে যোগাযোগ রাখেন ও তার খোঁজ নেন।