মেয়েকে ভর্তি নিতে চায়নি শহরের বহু খ্যাতনামা স্কুল : স্বস্তিকা মুখার্জী
টলিউডের ডাকসাইটে সুন্দরী হিসাবেই পরিচিত অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কম বিতর্কের মুখে পড়েননি তিনি। স্বস্তিকা মানেই যেন, কোনো না কোনো কারণে সংবাদের শিরোনাম। বিশেষ করে অভিনেত্রীর প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ বরাবরই ছিল ভক্তদের আলোচনার টেবিলে।
সবকিছুকে উপেক্ষা করেই একমাত্র মেয়েকে নিয়ে স্বস্তিকার সুখের সংসার। যদিও পড়াশোনার কারণে বিদেশে থাকতে হয় অন্বেষাকে। তবে ছুটিতে মেয়ে কলকাতায় আসলেই স্বস্তিকার দম ফেলার সুযোগ থাকে না। যদিও একসময় মেয়েকে একা বড় করতে গিয়ে একাধিক কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে।
গায়ক প্রমিত সেনের সেনের সঙ্গে খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয় স্বস্তিকার। যদিও সেই সংসার বেশিদিন টেকেনি। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন অভিনেত্রী। এরপর জন্ম দেন অন্বেষার। সিঙ্গেল মাদার হিসেবেই বড় করেন মেয়েকে। যেটাই তার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের এক চ্যাট শো-তে এসে স্বস্তিকা জানিয়েছিলেন, মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে গিয়েও কত বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। অভিনেত্রী বলেন, ‘অন্বেষাকে স্কুলে ভর্তি করার সময় সবচেয়ে বেশি অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি। স্কুলের অ্যাডমিশন টেস্টের নোটিশ বোর্ডে লেখা থাকত ভর্তির সময় বাবা-মা দু’জনকেই আসতে হবে। আমি একাই যেতাম। কলকাতার নামী-দামী স্কুল মেয়েকে ভর্তি নেয়নি আমার সিঙ্গেল মাদার স্ট্যাটাসের জন্য।’
আক্ষেপের সুরে স্বস্তিকা যোগ করেন, অনেক সময় স্কুলের অধ্যক্ষদের সঙ্গে কথা বলতে নিজের বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়কেও নিয়ে গিয়েছিলাম। সব শোনার পরে তারা বলতেন, ‘ঠিক আছে এ বছর হল না। পরের বছর আবার চেষ্টা করবেন। কিন্তু এভাবেই পরের বছরগগুলোও কেটে যেত।’
তবে হার মানেননি স্বস্তিকা। সিঙ্গেল মাদার হয়েই মেয়েকে বড় করে তুলেছেন তিনি। এখন বিদেশে পড়াশোনা করছেন অন্বেষা। মা স্বস্তিকার সঙ্গে তার বন্ধুর মতোই সম্পর্ক। এরই মাঝে প্রেমও করছেন অভিনেত্রীকন্যা। কলকাতার ছেলে শ্লোক চন্দনের সঙ্গে অন্বেষার প্রেমের কথা কারোই অজানা নয়।