ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক! শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা শুভশ্রীর?
শোবিজের অন্দরে যে কত কিছু ঘটে তার কিছু হয় রটনা, আর কিছু জিনিস নিয়ে আজও চলে নানা আলোচনা। ২০১৬-১৭ সাল জুড়ে যে ঘটনা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল টলিউড তা হল টলিপাড়ার প্রথম সারির দুই নায়িকা ও পরিচালকের ত্রিকোণ প্রেম। পরিচালক ভালোবাসতেন এক নায়িকাকে, তার বিরুদ্ধে ওঠে ঠকানোর অভিযোগ, মনের দুঃখে পরিচালক প্রেমে পড়েন আর এক নায়িকার।
সেই নায়িকার সঙ্গে যখন সম্পর্ক বিয়ের দিকে এগোচ্ছে ঠিক তখনই নাকি সেই প্রথম প্রেমিকার এন্ট্রি এবং এক হাড়হিম করা ক্লাইম্যাক্স! ২০২৪-এ দাঁড়িয়েও অনেকেরই দাবি, যা রটেছিল তা নেহাতই গসিপ নয়!
মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে এক সময় তুমুল প্রেম ছিল রাজ চক্রবর্তীর। সেই মিমিই অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের প্রথম ছবি ‘গ্যাংস্টার’য়ের শ্যুটিংয়ের কারণে তুরস্কে গিয়ে লাইন প্রোডিউসার ইলহান কিজল্কির কুড়ি বছরের অত্যন্ত হ্যান্ডসাম ছেলে মিলির প্রেমে যে ‘দিওয়ানা’ হয়ে পড়েছিলেন সে কথা একদা ছিল টলিউডের সবচেয়ে বড় ‘ওপেন সিক্রেট’। যদিও মিমি সে কথা মানতে চাননি তবে এর পরেই দেশে ফিরে বিচ্ছেদ হয়ে যায় রাজের সঙ্গে।
এর কিছু দিন পরে শুভশ্রীর সঙ্গে জোরালো হয় রাজের প্রেম। মিমি ছিলেন না সিনে। শোনা যায়, সে সময় নাকি রাজের সঙ্গে সম্পর্ক আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথাও ভাবছিলেন না তারা। হ্যাঁ, দুই বাড়িতেই নাকি হচ্ছিল বিয়ের কথাও! ডেট, ভেন্যু থেকে মেনু সব ঠিক হয়ে গেলেও আচমকাই হয়েছিল ছন্দপতন।
মিমির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রাজ কথাবার্তা বন্ধ করে দিলেও কিছু সময় পর থেকেই সব ঠিক হয় যায় তাদের মধ্যে। প্রেম পুনরায় শুরু না হলেও ‘বন্ধুত্ব’ হয় আবারও। ইন্ডাস্ট্রিতে এমনিতেও ‘কান ভাঙানোর’ মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। হবু বর প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে বজায় রাখছে ভালো সম্পর্ক! এটাই নাকি মেনে নিতে পারেননি শুভশ্রী, শোনা যায় এমনটাই।
এও শোনা যায়, মিমিও নাকি পুরো ঘটনায় মারাত্মকভাবে ডিস্টার্বড হয়ে পড়েছিলেন। শোনা গিয়েছিল, সটান রাজের অফিসে গিয়ে মিমির সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নও করেছিলেন শুভশ্রী। রাজ নাকি সে সময় ব্রেকআপ করে নেন শুভশ্রীর সঙ্গে। এমনকি শুভশ্রীর পরিবারের তরফে বেশ কিছু সাংবাদিকের কাছে ফোনও গিয়েছিল রাজের ‘স্বরূপ’ খুলে দেওয়ার জন্য।
এমতাবস্থায় রটে, সম্পর্কের টানাপোড়েনে ঘুমের ওষুধ খেয়ে নাকি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মিমি। হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয় তাকে। অন্যদিকে হাইল্যান্ডের পার্কের ফ্ল্যাটে লাইটার থেকে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে শুভশ্রীর বিরুদ্ধেও। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর যদিও ‘সব মিথ্যে’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনজনই। মিডিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিয়েছিলেন রাজ। ওদিকে মিমি বা শুভশ্রী কেউই এই ঘটনার সত্যতা সে সময় মানতে চাননি।
তবে এত বছর কেটে গেলেও আজও তা নিয়ে আলোচনা হয় টলিপাড়ায়। আজও রটে নানা কথা। বেশ কয়েক মাস আগে এল ফিল্মি পার্টিতেও ‘রাজশ্রী’ ঘনিষ্ঠদের প্রধান টপিকও ছিল এটিই। সন্দেহের বশে, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে সত্যিই কি এমনটা করতে গিয়েছিলে টলিপাড়ার এই দুই সুন্দরী। কেঁচো খুঁড়তে গেলে বেরিয়ে পড়তে পারে কেউটে, সেই কারণে ওদের ভক্তরা আজও সিঁদুরে মেঘ দেখলে বেশ ভয়ই পান! গানেই তো রয়েছে, ‘যে গ্যাছে তা যাক’। আপাতত তিনজনেই যে নিজস্ব জীবনে ভীষণ খুশি।