পৌঢ় অভিনেতাকে বিয়ে: অভিনেত্রীর খোলামেলা বয়ানে ‘শারীরিক সম্পর্ক’
ভারতীয় বাংলা সিনেমার দর্শকপ্রিয় অভিনেতা দীপঙ্কর দে। তার বয়স এখন ৭৯ বছর। ২০২০ সালে ৭৫ বছর বয়সে অভিনেত্রী দোলন রায়কে বিয়ে করেন তিনি। তখন কনের বয়স ছিল ৪৯ বছর। আর এখন দোলন রায়ের বয়স ৫৩ বছর।
দীর্ঘ ২২ বছর লিভ-ইনে থাকার পর রেজিস্ট্রি বিয়ের মাধ্যমে দোলনকে আইনি স্বীকৃতি দেন দীপঙ্কর দে। তারা যখন লিভ-ইন শুরু করেন, তখন এর এতটা প্রচলন ছিল না। দুজনের বয়সের ব্যবধানও অনেক। দীপঙ্কর তখন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা হলেও দোলন মাত্র ক্যারিয়ার শুরু করেছেন। যে কারণে প্রচণ্ড সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল এই যুগলকে। শুনতে হয়েছিল কটু কথাও।
দীপঙ্করের চেয়ে ২৬ বছরের ছোট দোলন রায়। বয়সের ব্যবধানের নেতিবাচক প্রভাব এ দম্পতির জীবনে ঠিক কতটা পড়েছে, নাকি বয়স তাদের জীবনে কোনো নেতিবাচক প্রভাবই ফেলতে পারেনি! এসব বিষয় নিয়ে ভারতীয় একটি ইউটিউব চ্যানেলে খোলামেলা কথা বলেছেন দোলন রায়।
আলাপচারিতার শুরুতে সঞ্চালক বলেন, তোমাদের প্রেমের খবর সারা দুনিয়া জানে। কিন্তু তোমাদের বয়সের ব্যবধানও অনেক। প্রেম থাকার পরও তোমার কোথাও একটা সমস্যা হয় না? জবাবে দোলন রায় বলেন, ‘শারীরিক সম্পর্কের কথা বলতে চাচ্ছো! একটা সময় পর্যন্ত আমাদের সবকিছু ঠিকই ছিল। তারপর যা হয়, তাই হয়েছে। মেয়েরাই তো এই কম্প্রোমাইজটা করে। তুমি একজন মেয়ে হয়ে তা বুঝতেই পারছো! মেয়েরা যদি এই ছাড়টা না দেয় তাহলে তো একটা অশান্তি শুরু হবে।’
ব্যাখ্যা করে দোলন রায় বলেন, ‘বলা যায়, আমার জীবনে ও (দীপঙ্কর) প্রথম। আমি আমার জায়গা থেকে স্যাচুরেটেড হয়ে গেছি, ও ওর পারা না পারা নিয়ে স্যাচুরেটেড হয়ে গেছে। তারপর কিছুটা কম্প্রোমাইজ, কিছুটা মানিয়ে নেওয়া। তবে ওর ভালোবাসা, আমার যত্ন নেওয়া অনেক বেশি। আসলে আমি ছোটবেলা থেকেই আপস করে বড় হয়েছি। সেটা পারিবারিক, অর্থনৈতিকভাবে করেছি। সুতরাং এটা আমার জীবনেরই অংশ হয়ে গিয়েছে। আবার এই কম্প্রোমাইজটাকে নেতিবাচকভাবে নিও না। আমার কম্প্রোমাইজটা মানুষকে ভালো রাখার জন্য।’
সবকিছু উপেক্ষা করে প্রবীণ দীপঙ্করকে নিয়ে সংসার করছেন দোলন রায়। কিন্তু সন্তানের মা হতে না পারায় আক্ষেপ রয়ে গেছে এই অভিনেত্রীর। এর আগে টিভি নাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘‘জানেন তো, মা হতে পারলাম না। প্রথম-প্রথম মানতে, মানিয়ে নিতে খুবই কষ্ট হতো। শুরুর দিকে এই অভাবটা আমার সত্যিই ছিল। ‘মা’ ডাকের অপূর্ণতা আমার জীবনে মস্ত বড় অপূর্ণতা বলতে পারেন।’’
তবে এই দুঃখ খানিকটা মিটিয়েছে দোলনের ভাইয়ের ছোট্ট ছেলে। যার সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েন দোলন। তার ভাষায়, ‘আমার ভাইয়ের এক পুত্রসন্তান আছে। ওকে নিয়েই আমাদের দিব্যি কেটে যাচ্ছে। দীপঙ্করও বাচ্চাটিকে খুব ভালোবাসে।’