কীভাবে এলো ‘প্রোপোজ ডে’? জানতে অবশ্যই পড়ুন
শুরু হয়েছে ভালোবাসার মৌসুম। আর বসন্তের এই সময়ের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে ভ্যালেন্টাইনস উইক। সাতদিনের দ্বিতীয় দিনটি প্রোপোজ ডে। অর্থাৎ ভালোবাসার প্রস্তাব জানানোর দিন। তবে মনের মানুষকে এই প্রস্তাব জানানোর রীতি কবে থেকে শুরু হলো জানেন কী?
যেভাবে এলো প্রোপোজ ডে
এর যদিও কোনো নির্দিষ্ট ইতিহাস নেই। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অস্ট্রিয়ান আর্চডিউকের প্রপোজালকে এমন প্রেম প্রস্তাব বলে মনে করা হয় যা আজও ইতিহাস স্মরণে রেখেছে।
. দাম্পত্যে যে সমস্যার কারণে পরকীয়া করেন সঙ্গী
. প্রিয়জনের মন ভালো হবে কী করলে?
মনে করা হয়, এটিই প্রথম প্রোপোজাল যার উল্লেখ ইতিহাসে পাওয়া যায়। ১৪৭৭ খ্রিষ্টাব্দে অস্ট্রিয়ান আর্চডিউক ম্যাক্সিমিলান মেরি অব বার্গ্যান্ডিকে প্রপোজ করেন। তবে তা খালি হাতে নয়, একটি হিরার আংটি পরিয়ে তাকে প্রোপোজ করেন তিনি।
এখন ভ্যালেন্টাইনস উইকের আগে বিশেষ এই দিন পালন করা হয়। তবে ১৪৭৭ খ্রিষ্টাব্দে ভ্যালেন্টাইনস ডে’র সঙ্গে এই দিনের যোগাযোগ ছিল না। আশ্চর্যের কথা, তখনকার সময় হিরার আংটি উপহার দেওয়ার চল ছিল না। এমনকি বিয়ের প্রস্তাবে অর্থাৎ এনগেজমেন্টেরও চল না।
প্রেমের প্রস্তাব জানানোর পর অন্য উপহার দেওয়ার রীতি ছিল। উপহার হিসেবে গবাদি পশু যেমন দুগ্ধবতী গাভী উপহার দেওয়ার চল ছিল। অস্ট্রিয়ান আর্চডিউক সেদিক থেকে সত্যিকারের ইতিহাস গড়েন।
. সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ভুলেও হতে পারে বিচ্ছেদ
. অতিরিক্ত রাগেও বাড়ে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি, বলছে গবেষণা
প্রোপোজ ডে’র গুরুত্ব
প্রোপোজ ডে পোলনের মূল লক্ষ্য হলো, মনের মানুষকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার সময় যারা সবটা বলে উঠতে পারেন না বা বলার সুযোগ পান না, এই বিশেষ দিন সেই সুরটা আগে থেকেই বেঁধে দেয়।
প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে প্রাথমিক সংযোগ করে দেয় প্রপোজ ডে। তাই যুগলদের কাছে বরাবরই বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে দিনটির। ম্যাক্সিমিলানের মতো এখনও অনেকে হিরার আংটি দিয়ে প্রোপোজ করেন এ দিনে।
তবে এর বাইরেও সাধ ও সাধ্যের মতো প্রোপোজের জন্য উপহার হিসেবে আপনি টেডি, চকোলেট, গোলাপ ইত্য়াদি দিতে পারেন। চাইলে সঙ্গী বা সঙ্গিনীর প্রিয় জিনিসটিও উপহার দিতে পারেন।