বিনোদন

‘ওর কাছে স্ত্রী শারীরিক খিদে মেটানোর জায়গা,কারুর পরিণতি যেন……’, বিস্ফোরক বৈশাখী ব্যানার্জী

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, একজন সাহসী নারী, যিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজির অধ্যাপক মনোজিৎ মণ্ডলকে পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন। ৯ বছরের দাম্পত্য জীবনে বৈশাখী কেবল মানসিক নির্যাতনের শিকারই হননি, বরং এক রাতের জন্যও শান্তিতে সংসার করতে পারেননি। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে আলিপুর আদালত তাদের বিবাহবিচ্ছেদের আইনি স্বীকৃতি দেয়।

ডিভোর্সের আগেই বৈশাখী শোভন নামে একজন ব্যক্তির সাথে ‘যৌথ-যাপন’ শুরু করেন। শোভন ও তার বন্ধুদের বক্তব্য অনুযায়ী, বৈশাখী মনোজিতের সাথে থাকাকালীন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। মনোজিতের পরকীয়ার কথা জানতে পেরে বৈশাখী অবশেষে এই বিবাহের অবসান ঘটান।

বৈশাখী বলেন, “মনোজিৎ হয়ত খুব শিক্ষিত, কিন্তু সংসার করার জন্য তার মানসিকতা নেই। তার স্ত্রীকে সে শুধুমাত্র শারীরিক চাহিদা মেটানোর মাধ্যম হিসেবে দেখে।” তিনি আরও বলেন, “আমি চাইব আর কারুর পরিণতি যেন আমার মতো না হয়। আমার সন্তানকে আমার কারণে যা দেখতে হয়েছে, সেটা যেন আর কাউকে দেখতে না হয়।”

বৈশাখীর অভিযোগ, মনোজিৎ মানসিকভাবে কখনোই তার সাথে ছিলেন না। তাই তিনি এই ভাঙা সম্পর্ক নিয়ে কখনোই আফসোস করেননি। আমি প্রশ্ন করেছিলাম- কোনওদিন আমাকে ভালোবেসেছিলি? জবাব এসেছিল- তোর শরীরটাকে ভালোবেসেছিলাম।’ সেইসময় বৈশাখীর মনে হয়েছিল ‘শরীরের খিদে তো যে কেউ মেটাতে পারে। আমি স্ত্রী হিসাবে ব্যর্থ, নারী হিসাবেও ব্যর্থ। আমি চাইব আর কারুর যেন পরিণতি বৈশাখীর মতো না হয়’।

বৈশাখী বর্তমানে শোভনের সাথে সুখী। শোভন ও তার বন্ধুরা বৈশাখীর যত্ন নেয় এবং তাকে মানসিক সহায়তা করে। বৈশাখী চান, তার এই অভিজ্ঞতা অন্যদের জন্য শিক্ষা হোক এবং তারা সাবধানতার সাথে জীবনসঙ্গী নির্বাচন করুক।

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সাহসী নারী যিনি নিজের সুখের জন্য লড়াই করেছেন। তার গল্প অন্যদের অনুপ্রেরণা জোগাবে এবং তাদের সাহস যোগাবে।

Back to top button