টয়লেট নোংরা তো কী হয়েছে, জেল জীবন নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন রিয়া চক্রবর্তী
চার বছর আগে প্রেমিক অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর জীবনটা ওলটপালট হয়ে যায় রিয়া চক্রবর্তীর। তাকে জেলেও যেতে হয়েছিল। সম্প্রতি ডিপটক উইথ চেতন ভগৎ টক শোতে আমন্ত্রিত হয়ে এসে জীবনের কঠিন সময়ের কথা শেয়ার করেন অভিনেত্রী।
সুশান্তের মৃত্যুর পর কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয় বলিউডের বাঙালি অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীকে। একাংশ ধরেই নিয়েছিলেন রিয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে সুশান্তের। রিয়াই নাকি সুশান্তকে নিয়মিত মাদক সেবন করাতেন। অভিনেতার মৃত্যুর পর ভারতের মাদক দমন শাখা রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাকে প্রায় এক মাস জেলেও থাকতে হয়।
রিয়া বলেন, ‘করোনাকালের কিছু নির্দিষ্ট নিয়মের কারণে আমাকে ১৪ দিনের জন্য একা রাখা হয়েছিল জেলে। জেলের সেই ঘরটিতে আমি সম্পূর্ণ একা ছিলাম। আমাকে জিজ্ঞেস করা হতো দুপুরে খাব কি না। আমি এত ক্ষুধার্ত এবং ক্লান্ত থাকতাম যে, যা দেওয়া হতো তাই-ই খেয়ে নিতাম। সেই সময় আমাকে রুটি আর ক্যাপসিকাম খেতে দেওয়া হত এবং সেই ক্যাপসিকাম সবজির মতো করে তৈরি করা ছিল না। ছিল কেবলই ক্যাপসিকাম এবং জল।’
বলতে-বলতে আবেগে ডুবে যাচ্ছিলেন রিয়া। তিনি জানিয়েছিলেন, নিজেকে অনেকটাই লাকি মনে করতেন তিনি। বলেছিলেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান ছিলাম। দেখতাম, অনেক বন্দির পরিবারের সমর্থন নেই। ৫ হাজার কিংবা ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কেউ ছিল না। আমার তো তাও পরিবার এবং বন্ধুরা আছে। আমি নিজেকে বলতাম, একদিন নিশ্চয়ই সুবিচার পাবো। বেলে আমার মুক্তি হবেই। কোনো অন্যায় করিনি। জেলের বন্দিদের দেখে অনেক কিছু শিখেছিলাম আমি।’
জেলের শৌচাগার অর্থাৎ টয়লেট খুবই ভয়াবহ বলে জানিয়েছেন রিয়া। বলেছেন, ‘মানসিক অত্যাচারের সামনে শারীরিক যন্ত্রণা ছোট বলে মনে হবে। মনে হবে টয়লেট নোংরা তো কী হয়েছে, আমি ঠিক ম্যানেজ করে নেব।’