মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজের বান্ধবীকে জড়িয়ে চুমু খেলেন আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি
আর্জেন্টিনার নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জাভিয়ের মাইলি শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) উন্মুক্ত মঞ্চে প্রকাশ্যেই তার বান্ধবী ফতিমা ফ্লোরেজকে চুমু দিয়েছেন। বান্ধবী ফাতিমা ফ্লোরেজ নিজের সর্বশেষ কনসার্টে যোগ দেওয়ার সময় আবারও সংবাদ শিরোনামে এসেছেন। আর রাষ্ট্রপতির প্রকাশ্য মঞ্চেই তার বান্ধবীকে চুমুর দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওটি আর্জেন্টিনার গণ্ডি ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে নেট দুনিয়ায়।
দেশটির রক্সি থিয়েটারে ফ্লোরেজের অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি জাভিয়ের মাইলি। অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চে সবার সামনেই নিজের বান্ধবীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খান। যা দেখে আপ্লুত অনুষ্ঠান দেখতে আসা সবাই।
স্থানীয় সংবাদ আউটলেট ক্লারিনের এ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাত ৯টা ৪০ মিনিটে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। তিনি তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কনসার্টের জন্য টিকিট কিনেছিলেন। অন্তরঙ্গ মুহূর্তের আগে রাষ্ট্রপতি শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। সেখানেই তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে আর্জেন্টিনা। পাশাপাশি দেশের উন্নতির ওপর তিনি জোর দেবেন বলেও জানিয়েছেন।
Argentina’s new President is Trump on Steroids pic.twitter.com/ux08bw4BnA
— Gabbar (@GabbbarSingh) December 31, 2023
রাষ্ট্রপ্রধানের এই প্রকা ঘনিষ্ঠ হওয়ার দৃশ্য এই প্রথম নয়। এর আগেও মাইলি-ফ্লোরেজ প্রকাশ্যেই ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। নভেম্বরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সমাপ্তির পরই লাইভ অনুষ্ঠানে চুম্বন করেন একে অপরকে। প্রেসিডেন্ট মিলেই থিয়েটারে তার বোন করিনা ও তার নিরাপত্তা প্রধানের সঙ্গে ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি ও ফ্লোরেজের মধ্যে রোমান্টিক সম্পর্কটি ফুটে ওঠে অন্য একটি টকশোতে। টকশোতেই ফ্লোরেজ তার তৎকালীন স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা শিকার করেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির আসায় কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন ফ্লোরেজ। সেখানেই তার একসঙ্গে পথচলার কথা তুলে ধরেন।
তাদের প্রাথমিক মিথস্ক্রিয়া ইনস্টাগ্রামে শুরু হয়েছিল। তাদের সম্পর্কের স্বাভাবিক ও ধীরে ধীরে অগ্রগতিতে বিকশিত হয়েছে। একটি সাক্ষাৎকারের সময় ফ্লোরেজ তার
ও রাষ্ট্রপতির সম্পর্কের কথা বলেন। তারপরই অক্টোবর থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়।
এদিকে মঞ্চে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি তার বান্ধবীকে চুমু খাওয়ার পরই প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাকে তুলনা করা শুরু হয়ে যায়। পাশাপাশি তার সাহস নিয়েও আলোচনা হয়।