‘এভাবেও বেঁচে থাকা যায়…’, সংসারের হাল ধরতে টোটো নিয়েই পথে নামলেন তরুণী
পিতৃপক্ষের অবসানে দেবীপক্ষের সূচনা হয়। আগমন হয় দেবী দুর্গার। অসুর নিধনে সাতদিন ধরে চলে ভয়াবহ যুদ্ধ। সেই লড়াই শেষে জয়ী মা দুর্গা। কিন্তু, আমাদের সমাজের দুর্গাদের লড়াই আর সাতদিন নয়, সারা জীবনই চলে।
বারাসতের কাজল লোহারও একজন দুর্গা। একজন নারী হয়ে টোটো চালিয়ে সে নিজের এবং সন্তানের জীবিকা নির্বাহ করে।
কাজল ৮ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের পর তার স্বামীর আসল রূপ প্রকাশ পায়। স্বামী প্রতিদিন নেশা করত এবং কাজলের উপর অত্যাচার চালাত।
অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কাজল বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন। সন্তানকে নিয়ে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য টোটো চালানো শুরু করেন।
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে একজন নারী টোটো চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া ছিল সহজ নয়। কিন্তু কাজল নিজের সিদ্ধান্তে অটল থেকেছেন।
আজ কাজলের টোটো বারাসত শহরের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়ায়। তিনি একজন দক্ষ টোটো চালক।
কাজলের গল্প অন্য নারীদের জন্য অনুপ্রেরণা। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, নারীরা যেকোনো কিছু অর্জন করতে পারে।
কাজল লোহার একজন সাহসী এবং সংগ্রামী নারী। তিনি নিজের এবং সন্তানের জন্য একটি ভালো জীবন গড়ে তোলার জন্য লড়াই করে চলেছেন। তিনি আমাদের সমাজে নারীদের জন্য এক অনুপ্রেরণা।