পোশাক খোলার চেষ্টা করে অনুরাগ, পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন বাঙালি অভিনেত্রী

বাঙালি অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ সিনেমা পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের বিরুধ্যে করেছেন শ্লীতাহানির অভিযোগ। আর এবার সেই অভিযোগের বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছে মহিলা কমিশন। কমিশনের চেয়ার পার্সন জানিয়েছেন লিখিত অভিযোগ পেলেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা।

সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পায়েল অভিযোগ করে জানিয়েছেন নিজের বাড়িতে ডেকে অনুরাগ তার শ্লীতাহানি করে। ওই অভিনেত্রী জানিয়েছেনযে ফেসবুকের মাধ্যমেই তার সাথে আলাপ হয় অনুরাগের। পায়েলের সাথে অনুরাগের দেখা হয় ২০১৪-১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে। প্রথম দেখার দিন অনুরাগ খুব ভালো ব্যবহার করেছিলেন সেদিন তার সাথে ম্যানেজারও ছিল। এরপর দ্বিতীয়দিন অনুরাগ কাশ্যপ তাকে বাড়িতে ডেকে পাঠায়। সেই প্রসঙ্গে পায়েল বলেন সেদিন যা করেছিল, তা আমি আজও ভুলতে পারিনি।

পায়েলের অভিযোগ, সেখানে অনুরাগ একটি অ্যাডাল্ট ফিল্ম চালিয়ে দেয়। অভিনেত্রী বলেন, আমি তখন ওর আসল উদ্দেশ্য উপলব্ধি করলাম। নোংরাভাবে আমার শরীর ছুঁতে থাকে কাশ্যপ, আমি বেরিয়ে আসতে চাইছিলাম।

পায়েল আরও বলেন, এরপর অনুরাগ নিজের পরনের পোশাক খুলে ফেলে। আমার পোশাকও খোলার চেষ্টা করে। আমার শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে। আমি বারবার বলতে থাকি, আমার পছন্দ হচ্ছে না। কিন্তু, আমার কথায় কোনও কর্ণপাত না করে ও নিজের নোংরা কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। যখন ও বুঝতে পারে, আমাকে বাগে আনতে পারছে না, তখন সে বাধ্য হয়ে বলে, প্রস্তুত হয়ে পরের বার আসতে।

বলিউড এই মুহূর্তে ড্র্যাগ থেকে নেপোটিজম নিয়ে খবরের শীর্ষে। বিভিন্ন অভিযোগ উঠে আসছে একের পর এক প্রথম সারির অভিনেতার বিরুধ্যে। আর তার মাঝেই পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের বিরুধ্যে মুখ খুললেন এই বাঙালি অভিনেত্রী।

সম্প্রতি পায়েল একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে এই অভিযোগ করেন ও পাশাপাশি এই প্রসঙ্গে তিনি টুইটারে লেখেন ‘অনুরাগ আমার উপর জোর করেছিল, আর খুব খারাপ ভাবে।’

যাহ্রাও তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ট্যাগ ওরে লেখেন ‘এই সৃজনশীলের ব্যক্তিত্বের পিছনে আসল মানুষটাকে চিনুন। আমি জানি উনি আমার ক্ষতি করতে পারেন। আমার বিপদ হতে পারে। আমাকে সাহায্য করুন।’

যদিও পায়েল জানিয়েছেন এই অভিযোগ সত্যি হলেও তার কাছে কোনও প্রমান নেই। কারণ তিনি ওই ঘটনা ঘটার পর অনেকবার তার ফোন বদলেছেন।
তবে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সন পায়েলকে ট্যাগ করে লিখেছেন আপনি মহিলা সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন। কমিশন বিষয়টি দেখবে।