গরম বালির বিশাল টিলা’সহ সাহারা মরুভূমি বিশ্বের বৃহত্তম মরুভূমি। ৯ হাজার ৪০০ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে আফ্রিকা মহাদেশের বিস্তৃত বালির এ সাগরকে বলা হয় ‘আস সাহারা আল কুবরা’ অর্থাৎ আরবি ভাষায় ‘গ্রেট ডেজার্ট’।
অথচ একসময় সাহারা মরুভূমি ছিল ‘সবুজ’-এর সমারোহ। এমনকি এখানে বিদ্যমান ছিল গাছপালা, বন্যপ্রাণী এবং মানুষের জনসংখ্যা। অর্থাৎ, আজ যে সাহারা দেখা যায়, তা একসময় গ্রাম ছিল। এছাড়া ছিল উত্তর আফ্রিকার বড় অংশজুড়ে বিশাল হ্রদ। যা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশের চেয়েও বড়। জেনে নেওয়া যাক- আসলে কী ঘটেছিল ‘সবুজ’ সাহারায়?
ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ২০০৫ এবং ২০০৬ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাহারায় প্রায় ২০০টি কবর আবিষ্কৃত হয়। এছাড়া শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা দল দক্ষিণ-পূর্ব আলজেরিয়ায় ডাইনোসরের দেহাবশেষের সন্ধান করতে গিয়ে একটি বিশাল কবরস্থানের সন্ধান পায়। এখানে পাওয়া যায় মানুষ ও প্রাণীর হাড়! এমনকি পাওয়া যায় বড় মাছ ও কুমিরের কঙ্কালও!
গবেষকরা জানান, সাহারায় দুটি দল বাস করত। একটি ছিল ‘কিফিয়ান গ্রুপ’ এবং অন্যটি ছিল ‘টেনেরিয়ান’। বিশ্বাস করা হয়- ‘কিফিয়ান’ গোষ্ঠী ৭ হাজার ৭০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ৬ হাজার ২০০ খ্রিস্টপূর্বর মধ্যে বসবাস করত। আর ‘টেনেরিয়ান’রা ৫ হাজার ২০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ২ হাজার ৫০০ খ্রিস্টপূর্বর মধ্যে বসবাস করত। অর্থাৎ, এটা পরিষ্কার যে, এখানে আগেও মানুষের আনাগোনা ছিল! কিন্তু প্রশ্ন হলো, সবুজ সাহারা কীভাবে মরুভূমিতে পরিণত হলো?
ঐতিহাসিক ও গবেষকদের মতে, সাহারা একদিনে মরুভূমিতে পরিণত হয়নি। পুরো প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এটি ঘটেছে। পৃথিবীর কক্ষপথে ছোট পার্থক্যের কারণে এটি ঘটেছে। কিছু গবেষক দাবি করেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে সাহারা।