নিউজ

Chandrayaan-3: চাঁদের দক্ষিণ মেরু কেমন? মানুষ পাঠাতে ISRO-র কাছে তথ্য চাইলো NASA

৫০ বছর পর ফের চাঁদে নভশ্চর পাঠানোর পরিকল্পনা করছে আমেরিকা। ২০২৫ সালের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখবে চার মার্কিন মহাকাশচারী। এই অভিযানে ভারতের চন্দ্রযান ৩-র উপর পুরোপুরি নির্ভর করছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA।

চাঁদের দক্ষিণ মেরু পুরোপুরি রহস্যাবৃত। বিশ্বের আর কোনও দেশ এখনও পর্যন্ত সেখানে কোনও নভোযান নামাতে পারেনি। যে কারণে এই অংশে নভশ্চর পাঠাতে রোভার প্রজ্ঞানের পাঠানো তথ্য়র উপর নির্ভর করছে NASA।

গত ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে চন্দ্রযান ৩-র ল্যান্ডার বিক্রম। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে বর্তমানে চন্দ্র পৃষ্ঠে ঘুরে বেড়াচ্ছে রোভার প্রজ্ঞান। রোভার প্রজ্ঞান থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নভশ্চর পাঠানোর পরিকল্পনা করছে NASA।

NASA-র এক বিজ্ঞানীর কথায়, “ISRO-র প্রজ্ঞান যেভাবে কাজ করেছে, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। চন্দ্র পৃষ্ঠের গঠন ও আবহাওয়া — দুই বিষয়ই বিস্তারিত তথ্য আমরা পাচ্ছি। সেখানে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কতটা নীচে নেমে যায়? কতক্ষণ আলো থাকে? বা চন্দ্র পৃষ্ঠের গর্তগুলি কতটা বড়? নভশ্চর পাঠানোর মতো হাই প্রোফাইল অভিযানের ক্ষেত্রে এগুলি আপনাকে জানতেই হবে।”

রোভার প্রজ্ঞান চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সালফার ও অক্সিজেনের উপস্থিতির কথা জানিয়েছে। চাঁদের যে অংশে ল্যান্ডার বিক্রম অবতরণ করে, তার নাম শিবশক্তি পয়েন্ট। সেখান থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত রোভারটি ঘুরেছে বলে জানিয়েছে ISRO।

NASA-র দাবি, এই মিশনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হল চন্দ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ। “চাঁদে রাত শুরু হলে হিমাঙ্কের ২০০ ডিগ্রি নীচে নেমে যায় পারদ। এই উপর ভিত্তি করে নভশ্চরদের স্পেস স্যুট তৈরি করব আমরা। এর নকশায় কিছু বদল আনা হতে পারে।” জানিয়েছেন এক মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

Back to top button