TITAN: একেই বলে সৌভাগ্যে বাঁচা! শেষ মুহূর্তে টাইটানের সফর বাতিল করে বেঁচে গেলেন ব্রিটিশ ব্যবসায়ী
আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ক্রিস ব্রাউন। তবে সাবমেরিনটির নিরাপত্তার নানা বিষয়ে প্রশ্ন তুলে শেষ মুহূর্তে তিনি সফরটি বাতিল করে বেঁচে যান।
সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ব্রাউন তার বন্ধু হার্মিশ হার্ডিংয়ের সঙ্গে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যেতে চেয়েছিলেন। এ জন্য তিনি ৮০ হাজার পাউন্ড দিয়ে প্রাথমিক রেজিস্ট্রেশনও করেন।
ক্রিস ব্রাউন বলেন, সাবমেরিনটির প্রযুক্তিগত মান নিয়ে শঙ্কিত হওয়ায় ওশানগেট এক্সপেডিশনের ওই ভ্রমণ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি।
ব্রাউনের দাবি, সাবমেরিনটির কন্ট্রোলার কম্পিউটার গেমের সঙ্গে মিল থাকায় তিনি শেষ মুহূর্তে সফরটি বাতিল করেন।
টাইটানে না গিয়ে নিজেকে সৌভাগ্য মনে করলেও বন্ধু হামিশ বার্ডিংকে নিয়ে মন খারাপ ব্রাউনের। তিনি বলেন, ‘সত্যিই আমার বন্ধুর জন্য খারাপ লাগছে।’
গত রোববার (১৮ জুন) ওশানগেটের সাবমারসিবল ডুবোযান টাইটান পাঁচ আরোহী নিয়ে কানাডা উপকূল থেকে আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে যায়। এর ঠিক পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর থেকে এটিকে খোঁজার সব রকমের চেষ্টা চালায় মার্কিন কোস্টগার্ডের পাশাপাশি কানাডার কোস্টগার্ড সদস্যরা।
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বেশ কয়েকটি উদ্ধারকারী জাহাজের সমন্বয়ে চলে শ্বাসরুদ্ধকর এ অভিযান। শেষ সময়ে এসে বাড়ানো হয় অভিযানের ব্যাপ্তিও। আটলান্টিকের তলদেশের প্রায় ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে চালানো হয় চূড়ান্ত পর্বের অভিযান।
একই সঙ্গে আনা হয় পানির তলদেশে চলাচলে সক্ষম ভিক্টর ৬০০০ নামে রোবোটিক্যালি অপারেটেড একটি ফরাসি ভেহিক্যালও। এটি ডুবোযানটিকে পানির ওপর ভেসে উঠতে বাধাদানকারী কোনো কিছু শনাক্ত হলে সেটিকে সরিয়ে ফেলতে সক্ষম। এ অনুসন্ধানে সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় মার্কিন কোস্টগার্ড।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বিকেল ৩টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় তারা।
মার্কিন কোস্টগার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাগার জানান, টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে টাইটান সাবমেরিনের বড় পাঁচটি টুকরা পাওয়া গেছে। এর সব আরোহীই মারা গেছেন বলে জানান তিনি।