১৩০ বার ফোন করার প্রচেষ্টা করেও ওপর প্রান্তে ফোন ধরছেনা তার প্রেমিকা। আর সেই অভিমানেই তিনতলা থেকে লাফ দিয়েছেন এক যুবক। ইতিমধ্যে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় একটি হাসপাতালে।
সম্প্রতি এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে চেন্নাইয়ে। গুরুতর অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় একটি হাসপাতালে। পেশায় অটোচালক ওই যুবকের নাম দুরাই।
সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী জানাগেছে যে ওই যুবক চেন্নাইয়ের কোরোনেশন নগরের একটি কমপ্লেক্সে মা -বাবার সাথে থাকতেন। অনেকদিন ধরেই এক যুবতীর সাথে ছিল তার প্রেমের সম্পর্ক। ওই যুবতীয় থাকতেন ওই কমপ্লেক্সে।
লকডাউন জারি হতেই দুজনের দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর ফোন ও মেসেজে যোগাযোগ থাকলেও এক পর্যায়ে হঠাৎ করেই ওই যুবতী বন্ধ করে দেয় সমস্ত যোগাযোগ।
আর তারপর থেকেই ওই যুবক ভুগতে থাকেন মানসিক অবসাদে। যে বিল্ডিঙে তিনি থাকতেন সেই বিল্ডিং থেকেই ওই যুবক অভিমানে ঝাঁপ দেন। তার সৌভাগ্য ভালো থাকায় এই যাত্রায় বেঁচে গেছে এই যুবক। তবে তার শরীরের একাধিক হার ভেঙে গেছে।
লাফ দেওয়ার পর দুরাইয়ের চিৎকার শুনে ছুটে আসে আসে পাশের লোকজন। তারাই আহত যুবককে নিয়ে যান হাসপাতালে।
ইতিমধ্যে পুলিশ দুরাইয়ের মোবাইল ফোন সংগ্রহ করেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানাগেছে লাফ দেওয়ার আগে ওই যুবক তার প্রেমিকাকে ১৩০ বার ফোন করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে দুরাই সুস্থ হয়ে উঠলে তার বয়ান রেকর্ড করা হবে।