Cyclone: বাড়ির ছাগল বাঁচাতে গিয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু, শোকে গোটা পরিবার
ভারতের গুজরাট উপকূলে খুব শক্তিশালী ঝড় আঘাত হেনেছে। আরব সাগরে সৃষ্ট এই ঝড় কার্যত দেশের পশ্চিমাঞ্চলকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আর এ সময় ঝড়ের তাণ্ডবে আটকে পড়া একটি ছাগলকে উদ্ধার করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন দুইজন।
তারা বাবা-ছেলে সম্পর্কের। শুক্রবার (১৬ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান এনডিটিভি।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের ভাবনগর জেলার বন্যা উপত্যকায় আটকে পড়া একটি ছাগলকে উদ্ধার করতে গিয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে, ঝড়ের কারণে কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টিপাত এবং গুজরাটের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার গুজরাটের উপকূলে ঝড়টি আঘাত হানে। ভাভানগর সহ গুজরাটের বেশ কয়েকটি জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। এসএন ভারা প্রাদেশিক কর অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টির পর সেহুর শহরের কাছে বান্দর গ্রামের মধ্য দিয়ে উপত্যকায় জল ঢেলেছে।
তিনি বলেন, ‘আচমকা জলের প্রবাহের কারণে এক পাল ছাগল ওই খাদে আটকে যায়। এসব গবাদি পশুদের বাঁচাতে ৫৫ বছর বয়সী রামজি পারমার ও তার ছেলে রাকেশ পারমার (২২) উপত্যকায় ঢুকে পড়ে। তবে জলের স্রোতে তারা ভেসে যায়। পরে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।’
এসএন ভারা বলেন, উপত্যকায় ২২টি ছাগল ও একটি ভেড়া আটকা পড়েছে।
অতিরিক্তভাবে, গুজরাটের অন্যান্য অংশে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কালেক্টর অমিত অরোরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কচ্ছ জেলা। তবে সেখানেও কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
‘আমরা আগে থেকে গণহারে বহু মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছিলাম। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কচ্ছে এখনও পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি। ঘণ্টায় প্রায় ৮০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে কিছু গাছ এবং বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে গেছে।’
এদিকে, একটি বিপর্যয়কর ঝড় সারা রাজ্যে আঘাত হেনেছে, গুজরাটে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। রাজ্যে 500 টিরও বেশি গাছ ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়া দুর্যোগের কারণে প্রায় এক হাজার গ্রামে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
কিন্তু জলে ডুবে যাওয়া বাবা-ছেলে ছাড়া এখন পর্যন্ত আর কোনো প্রাণ হারায়নি রাষ্ট্র।