বিশেষ: মরুভূমিতে যে তাপ সহনীয়, অন্য অঞ্চলে তা এতটা প্রাণঘাতী কেন? জেনেনিন মূল কারণ
এবারের তাপ আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এবং কিছু কিছু জায়গায় গ্রীষ্ম শুরুর আগে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।
ভারতের রাজস্থানের কথা দেখে নেওয়া যাক। থর মরুভূমিতে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা সবসময় বেশি থাকে। গ্রীষ্মের গড় তাপমাত্রা 36 ডিগ্রি সেলসিয়াস, কিন্তু প্রায়ই 40 ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যায়। 2016 সালে, থালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়েছিলেন। পারদ 51 ডিগ্রি সেলসিয়াসে বেড়েছে।
পরিসংখ্যান অনুসারে, সাহারায় সর্বোচ্চ রেকর্ড করা তাপমাত্রা ছিল 58 ডিগ্রি সেলসিয়াস। যাইহোক, 51 বছর বা 58 বছর বয়সে মৃত্যুর কোনও রেকর্ড নেই। তবে এই তাপপ্রবাহ কলকাতা এবং দিল্লিতে সহজেই মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সাম্প্রতিক দিনগুলিতে পশ্চিমবঙ্গে 41 বা 42 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপপ্রবাহের কারণে বেশ কয়েকটি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মরুভূমি এবং সমতলের মধ্যে তাপমাত্রার এত পার্থক্য কেন? রাজস্থানে ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা কেন সহ্য করা যায় কিন্তু কলকাতায় নয়?
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনানবাজারের খবরে বলা হয়, সর্বত্রই বিভিন্ন কারণে তাপের প্রভাব নির্ভর করে। আর্দ্রতা এটি একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। মানবদেহ প্রধানত সূর্য থেকে তাপ গ্রহণ করে। বলা হচ্ছে, তাপ শরীরের অভ্যন্তরে কিছু দ্বারা উত্পন্ন হয়, যথা শারীরিক কার্যকলাপ।
এছাড়া শরীর থেকে অতিরিক্ত তাপ দূর করাও প্রয়োজন। ঘাম ঝরিয়ে করতে হয় এমন একটি কাজ। ঘাম বাতাসের সাথে মিশে শরীরকে ঠান্ডা করে। তবে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি হলে ঘাম বাষ্পীভূত হতে পারে না। কারণ উচ্চ আর্দ্রতার অর্থ হল বাতাসে ইতিমধ্যে জলীয় বাষ্প রয়েছে। অতএব, উচ্চ তাপমাত্রায় আর্দ্রতার কারণে অতিরিক্ত ঘাম হয়।
ঘাম আপনার শরীরের সমস্ত শক্তি শোষণ করে। এতে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে তাপজনিত মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ। সম্প্রতি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই মারাত্মক তাপের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে।
অন্যদিকে, মরুভূমি এবং অপেক্ষাকৃত শুষ্ক অঞ্চলে বাতাসে জলীয় বাষ্প অনেক কম থাকে। মরুভূমির বাতাসে খুব কম জলীয় বাষ্প থাকে। এর মানে হল যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও বাসিন্দারা কম ঘামেন। শুষ্ক তাপ অবশ্যই একটি সমস্যা, তবে এটি থেকে মৃত্যু বিরল।