“বুলেট ট্রেন নিয়ে চিন্তা বেশি”-যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অধীর চৌধুরী
ওড়িশায় ঘটে যাওয়া স্মরণকালের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে ১ হাজারেরও বেশি লোক। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বর জেলায় দু’টি যাত্রীবাহী ট্রেন ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী এবার যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। তিনি বলেন ” বারবার বুলেট ট্রেন বুলেট ট্রেন নিয়ে কথা বলা হয়। শুনলে আপনি চমকে যাবেন। প্রতিদিন দেশের ২৫ লক্ষ সওয়ারী রেল সফর করে। তো বুলেট ট্রেন চালাতে সব অর্থ ওখানেই বরাদ্দ কড়া হচ্ছে। কোথাও আবার বলা হচ্ছে বন্দে ভারতের কথা। এই খাতে যদি ঠিক ভাবে নজর না দেওয়া হয়। তাহলে সবচেয়ে বড় ভুল হবে এখানেই। যার ফল ভুগতে হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, কলকাতাগামী হাই-স্পিড বেঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাহাঙ্গা বাজার এলাকায় লাইনচ্যুত হয়েছে। কুমন্ডেল চেন্নাইগামী করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঐ এলাকা পেরিয়ে যাওয়ার সময় লাইনচ্যুত ট্রেনের বগির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। করমন্ডল এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি ঘটনাস্থলে একটি মালবাহী ট্রেনের বগির ওপরও আছড়ে পড়ে। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই মারাত্মক ছিল যে করমন্ডল এক্সপ্রেসের ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়।
ভারতীয় রেলওয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। শুক্রবার উড়িষ্যার বলেশ্বর জেলার বাহাঙ্গা বাজার এলাকায়। তিনটি ট্রেন এই দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল:শালিমার থেকে চেন্নাইগামী সেন্ট্রাল করমন্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়াগামী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালবাহী ট্রেন
কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সিগন্যালের অপেক্ষায় থাকা মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় এবং সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস আগেই ওই এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছিল। সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুতির সঙ্গে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল কিনা তা কর্মকর্তারা এখনও নির্ধারণ করতে পারেননি।
সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, শুক্রবারের দুর্ঘটনাটি 1947 সালে স্বাধীনতার পর ভারতের সবচেয়ে খারাপ এবং মারাত্মক দুর্ঘটনা ।