শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষের চিঠির অভিযোগে অভিষেক ব্যানার্জিকে সিবিআই তলব করে। ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। সিবিআই অফিসের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। মঞ্চে বক্তৃতার শুরুতেই নিশানা করেন মোদী সরকারকে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই দিন বলেছিলেন: “আমাকে ডাকা হয়েছে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি রুখতেই। আমাকে ডাকাডাকি বন্ধ করুন। BJP-র কারও নাম এলেও তাঁদের কেন ডাকা হচ্ছে না? আসলে আমাপ পিছনে সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি লাগিয়েও মত নত করাতে পারছে না। যে গতিতে নবজোয়ার কর্মসূচি এগোচ্ছে, তাকে রোখা সম্ভব নয়। নবজোয়ার কার্যত জনজোয়ার, জনপ্লাবনের মোড় নিয়েছে। রোদ-ঝড়-জল-বৃষ্টিতে এগোচ্ছে নবজোয়ার যাত্রা।”
অভিষেক কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন: দিল্লির পোষা কুকুর হয়ে থাকতে পারব না। আমি মরে গেলেও মাথা নত করব না। প্রথম দিন থেকেই আমায় টার্গেট করা হচ্ছে। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হয়ে থাকব।”
অভিষেক সেদিন অমিত শাহকে নিশানা করে বলেন, ‘‘১৫০ গুণ সম্পত্তি বেড়েছে বলে সুকন্যা মণ্ডল জেলে, আর ১৫০০ গুণ সম্পত্তি বাড়া সত্ত্বেও অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ বাইরে!’’
সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিষেকের প্রশ্ন: “CBI-এর সঙ্গে সেটিং আছে শুভেন্দু অধিকারীর। একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও শুভেন্দুকে কেন ডাকা হচ্ছে না। অথচ, বারবার আমাকে ডাকা হচ্ছে। অহেতুক হেনস্তা করা হচ্ছে। এতেই বোঝা যায়, কার সঙ্গে সেটিং আছে। তৃণমূল করলে এক রকম নিয়ম, আর BJP করলে আরেক রকম আইন। সারদার প্রাইম FIR নেমড শুভেন্দু অধিকারী। কতবার ডেকেছে? গ্রেফতার হয়েছে? দিলীপ ঘোষের দলিল পাওয়া গেল প্রসন্নর বাড়িতে। তাঁকে ডেকেছে?”
তার ফলো-আপ প্রশ্ন হল: “আমায় ডাকল কুন্তল ঘোষের চিঠিতে নাম আছে বলে। তাহলে সারদা কর্তার চিঠিতে নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তী, অধীর চৌধুরীকে ডাকা হবে না কেন?”
অভিষেকের বিস্ফোরক বক্তব্য: এদিন CBI একাধিক লোকের ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করেছে এদের চিনি কি না। আমি বলছি, বিশ্বাস করুন, এদের অধিকাংশ পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা। সকলেই জানে সে সময় পূর্ব মেদিনীপুর বা মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে কে ছিল? ধরে নিলাম পার্থ চট্টোপাধ্যায় দোষী। কিন্তু কে দায়িত্বে ছিল?”