“জাল্লিকাট্টু”-কে বৈধতা দিল সুপ্রিম কোর্ট , দেওয়া হলো ৩টি যুক্তিসম্মত কারণ
প্রতিদিনই বিভিন্ন খবরের শিরোনামে থাকে ভারত। আজকেও তাই, তামিলনাড়ু রাজ্যে ‘পাগলা ষাঁড়কে নিয়ন্ত্রণে আনার’ খেলা জাল্লিকাট্টু কে বৈধতা দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এই খেলার জনপ্রিয়তার জন্য অবশেষে বৈধতা পেল এই খেলাটি।
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে জাল্লিকাট্টু নামে ‘পাগলা ষাঁড়কে নিয়ন্ত্রণে আনার’ যে ঐতিহ্যবাহী খেলা প্রচলিত রয়েছে, তার আইনি বৈধতা দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
এই খেলার অনুমোদন দিয়ে তামিলনাড়ু সরকার যে আইন এনেছিল, তাকেই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। মহারাষ্ট্র, কর্নাটক এই ষাঁড়ের খেলা নিয়ে যে আইন করেছিল, সেগুলোও ‘বেআইনি’ নয় বলেই জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশে।
পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, জাল্লিকাট্টুর সঙ্গে নৃশংসতার কোনো যোগ নেই। একে রক্তক্ষয়ী খেলাও বলা যায় না। তবে শীর্ষ আদালত এই খেলায় ব্যবহৃত পশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে এই রাজ্যকে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট জাল্লিকাট্টুকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে। জানায়, সংবিধানে পশুদের যে অধিকার রক্ষার কথা বলা হয়েছে, এই খেলা তা লঙ্ঘন করে। এই রায়ের পর তামিলনাড়ু, কর্নাটক এবং মহারাষ্ট্র জাল্লিকাট্টু, কাম্বালা এবং ষাঁড়ের গাড়ির খেলাকে বৈধতা দিয়ে নতুন আইন আনে। সেই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় পশুদের অধিকার রক্ষাকারী সংগঠন পেটা।
সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট জানাল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্রের আনা আইন বৈধ। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, জাল্লিকাট্টু নৃশংস নয়। এই খেলায় পশুদের খুনের জন্য কেউ যোগ দেয় না। একে রক্তক্ষয়ী খেলা বলা যায় না। কারণ এই খেলায় কোনো অস্ত্র ব্যবহার করা হয় না।
সূত্র: আনন্দবাজার