স্ট্রবেরি চাষীর ছেলে থেকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী, কেমন ছিল সেই পথ? জেনেনিন এক ঝলকে
তাদের পারিবারিক ব্যবসা ও কাজ ছিল স্ট্রবেরি চাষ করা। আর তখন কেউ জানতই না যে স্ট্রবেরি চাষির ছেলে একদিন কাঁধে নিয়ে নেবে রাষ্ট্রের দায়িত্বভার। দরিদ্র ওই পরিবারের ক্ষমতাও ছিল না ছেলের উচ্চ শিক্ষার খরচ জোগানোর। তাই নিজেই কার্ডবোর্ড ফ্যাক্টরিতে কাজ করে চালিয়েছিলেন নিজের পড়াশুনার খরচ।
জাপানের হবু প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগার জীবনী সত্যি মানুষকে অনুপ্রেরণা যোগাবে। তার জন্ম ১৯৪৮ সালের ৬ ডিসেম্বর বাকিটা এলাকার ওগাচি (বর্তমানে ইয়ুজাওয়া) গ্রামাঞ্চলে। আর যে ভবিষতে দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে তার কি আর ওখানে থাকলে চলবে। তাই ইয়ুজাওয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি টোকিওতে পাড়ি জমান।
কিন্তু তার পরিবারের তার পড়াশুনার খরচ চালানোর সামর্থ্য ছিল না। তাই তিনি সবথেকে কম খরচে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করার জন্য ভর্তি হন হোসেই বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর সেখানেই ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
তারপর সুগা যোগ দেন ১৯৮৬ সালে জাপানের লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে। এরপর ১০ বছর ধরে পার্টির সাথে কাজ করার পর ১৯৯৬ সালে তিনি জাপানের কানাজাওয়া প্রদেশ থেকে নির্বাচিত হন সাংসদ হিসেবে। বর্তমানে তিনি এখন এলডিপির সভাপতি।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তার শারীরিক সমস্যা থাকার কারণে পদত্যাগের ঘোষণা করেন। ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভাপতি পদের জন্য নির্বাচিত হন। আর সেই নির্বাচনে তিনি ৫৩৪টি ভোটের মধ্যে ৩৭৭ টি ভোট পান।
পার্লামেন্টের আর একটি ভোটের মাধ্যমে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর বেঁচে নেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীকে। আর পার্লামেন্টে এলডিপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার কারণে নতুন নেতাই নিশ্চিতভাবে নির্বাচিত হবেন জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। সুগা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নেতৃত্ব দেবেন এলডিপিওর।