যেসব কারণে আজকাল বেড়েই চলেছে অ্যাসিডিটির সমস্যা, না জানলেই বিপদ আপনার
আমাদের মধ্যে অনেকেই প্রায় এসিডিটির সমস্যায় ভোগেন। অথচ এই অ্যাসিডিটি হওয়ার পেছনে আমাদের কিছু অভ্যাস দায়ী। তাই কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন করলেই এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। আসুন জেনে নেই এসিডিটি বেড়ে যাওয়ার ১০ কারণ।
খাওয়া শেষে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া
অনেকেই আছেন রাতে বা দুপুরে খাওয়ার শেষে ঘুমিয়ে পড়েন।
এতে আমাদের খাবার পাকস্থলীতে যাওয়া পর্যন্ত বাঁধা সৃষ্টি করে। তাই খাবার পর কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করে ঘুমানো উচিত।
স্থূলতা
স্থূলতা বা শরীরের অতিরিক্ত ওজন এসিডিটির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। তাই অ্যাসিডিটি কমাতে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
গভীর রাতে খাবার খাওয়া
সাধারণ খাবার খাওয়ার পর পাকস্থলীতে অনেক অ্যাসিড জমে যায়। আর রাতে খাওয়ার পর ঘুমালে এই এসিডের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।
প্রচণ্ড ঝাল খাবার
আমাদের মধ্যে অনেকে ঝাল জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু যারা অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য এই ঝাল জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। কারণ ঝাল অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে একটি। এটা সরাসরি পাকস্থলীতে অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে দেয়।
চা কফি ও অ্যালকোহল
চা, কফি, অ্যালকোহল ও সোডাসহ কিছু পানীয় সরাসরি অ্যাসিডিটি বাড়ায়। তাই যাদের প্রচণ্ড অ্যাসিডিটি সমস্যা আছে তাদের এসব পানীয় থেকে দূরে থাকাই ভালো।
ধুমপান এসিডিটি বাড়ায়
ধুমপানের কারণে আমাদের শরীরে অনেক ধরনের ক্ষতি হয়। তার মধ্যে অ্যাসিডিটি বেড়ে যাওয়া অন্যতম।
ওষধের খাওয়া
এসপিরিন, ইবুপ্রোফেন এবং ব্লাড প্রেসারের কিছু ওষুধের জন্যও অ্যাসিডিটি বাড়তে পারে।
প্রচুর ফ্যাট আছে এমন খাবার
প্রচুর ফ্যাট আছে যেসব খাবারে যেমন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, বাটার, আইসক্রিম, পটেটো চিপস খেলে অ্যাসিডিটির পরিমাণ বাড়তে পারে।
যেসব ফলে এসিটিক এসিড আছে
লেবু, আনারস ও টক মিষ্টি জাতীয় ফলে খেলে অ্যাসিডিটি বেড়ে যায়। তাই যাদের এসিডিটি আছে তাদের এসব ফল না খাওয়াই ভালো।
চকলেট
অতিরিক্ত চকলেট খাওয়ার কারণেও অ্যাসিডিটি বেড়ে যেতে পারে। তাই অতিরিক্ত চকলেট না খাওয়াই শরীরের জন্য ভালো।