অফবিট

কথা বলে উঠল ৩০০০ বছরের পুরনো মমি, অবাক গবেষকরা

আমরা ছোটবেলা থেকেই পাঠ্য পুস্তক থেকে জেনেছি মিশরীয় মমিদের সম্পর্কে। মিশরের সুতি অবাক করা জিনিস হলো পিরামিড ও সেই পিরামিড থাকা মমি। গবেষকরা এই মমির রহস্য উদ্ঘাটনে গবেষণা করে আসছে বছরের পর বছর। আর এরই মধ্যে গবেষকরা পেয়েছেন এমন এক মমি। যা সম্প্রতি কথা বলে উঠেছে। আপনি নিশ্চই মমির কথা বলা শুনে অবাক হয়ে গেছেন? এরকমটাই প্রথমে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন গবেষকরাও।

তবে এমন ভাববেন না যে মমিটি নিজেই কথা বলতে পেরেছে। বিজ্ঞানীরা অনেক প্রচেষ্টা করে তার কণ্ঠস্বর সচল করেছেন।

জানাগেছে এই মমিটি ৩০০০ বছর আগের এক যাজকের। এই জজজক ছিলেন প্রাচীন মিশরের থিবসের কর্ণকে মন্দিরের একজন পুরোহিত। এই যাজকের নাম নেসায়মুন। অনুমান করা হচ্ছে আজ থেকে আনুমানিক ৩০০০ বছর আগেই তিনি মারা যান।

এই মমি নিয়ে যারা গবেষণা করছেন তাদের দাবি যে এই মমি কথা বলেছে কিন্তু তার কণ্ঠবাসার এতটাই ক্ষীণ ও অস্পষ্ট ছিল যে ওই পুরোহিত মমি যা শব্দ উচ্চারণ করছিলেন তা বোঝাই যায়নি। তবে গবেষকরা ধারণা করছেন যেহেতু তিনি একজন পুরোহিত ছিলেন তাই হয়তো কোনও মন্ত্র উচ্চারণ করছিলেন।

বিজ্ঞানী ও গবেষকরা সেই শব্দের অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।

তবে বিষয়টি এমন নিজে এই মমি জীবিত মানুষের মতো কথা বলেছে। এই মমিকে কথা বোলানোর জন্য করতে হয়েছে বিভিন্ন পরীক্ষা -নিরীক্ষা। সেই সাথে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার।

আর এই মিশরীয় পুরোহিতের দেহ এতটাই ভালোভাবে মমি করে রাখা হয়েছিল যে তার দেহ এতো বছর পরেও রয়েছে অবিকৃত ও গলার ভোকাল কর্ডের কোষ গুলো এখনো রয়েছে অক্ষত।

তারপর থ্রিডি থ্রি-ডি ডায়মেনশনাল প্রিন্টার ভোকাল বক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করেন বিজ্ঞানীরা। আর সেই ভোকাল ট্রাক প্যাসেজে সেই শব্দ ফিল্টার করে তৈরী হয় অর্থ পূর্ণ শব্দ। তারপর এই মমির ভোকাল কর্ডের কপি করে বৈদ্যুতিক ল্যারিন্যাক্সে কৃত্রিমভাবে তার কণ্ঠ তৈরি করেন।

এই পুরোহিত মমিটি এখনো পর্যন্ত দুটি শব্দই উচ্চারণ করতে পেরেছে সেগুলি হলো ‘আহ’ এবং ‘এহ’।যার অর্থ মিশরীয় ভাষায় পুনরুদ্ধার করে দাঁড়ায় খারাপ’ এবং ‘বিছানা’।

পুরোহিতের এই মমি নিয়ে গবেষণা চলছে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই। পুরোহিতের ওই মমিটি ইংল্যান্ডের লেডস সিটি মিউজিয়ামে টো০ বছর ধরে ছিল বলে জানিয়েছে কর্মীরা।

এখন পর্যন্ত মমিটি মাত্র দুটি শব্দ উচ্চারণ করেছে। সেগুলো হলো এর অর্থ অনেকটা দাঁড়ায় ‘ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলছে এই গবেষণার কাজ।

Back to top button