নিউজঅফবিটলাইফস্টাইল

স্যানিটাইজার এ কি মিথানল আছে,সতর্ক হোন নাহলে পড়তে হবে বিপদের মুখে

হ্যান্ড স্যানিটাইজার হলো এখন আপনার সবচেয়ে বিশ্বস্ত সৈনিক করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য। তাইচলতি সব ধরণের স্যানিটাইজারেই ভরসা রাখছেন সবাই ।কিন্তু কনজিউমার গাইডেন্স সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া বা সিজিএসআই জানাচ্ছে এই হ্যান্ড স্যানিটাইজারে লুকিয়ে রয়েছে মারাত্মক বিপদ। ১২২টির মধ্যে কমপক্ষে ৫টি স্যানিটাইজারে মিলেছে বিষাক্ত মিথানল। ৪৫টির মধ্যে পাওয়া গিয়েছে এমন রাসায়নিক, যা সেই স্যানিটাইজারগুলির বাক্সের লেভেলে লেখাই নেই। যে সব স্যানিটাইজারে মিথানল মিলেছে, সেখানে অন্তত ৪ শতাংশ হারে এই বিষাক্ত মিথানল মেশানো রয়েছে।

৩১ অগাষ্ট সিজিএসআই একটি সমীক্ষা চালায়। দেখা যায় এই হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলিকতে আদৌও অ্যালকোহলের চিহ্ন রয়েছে কিনা। বা স্যানিটাইজারের লেভেলে যা লেখা, তার সঙ্গে মিল রয়েছে কিনা। সিজিএসআই এটাও দেখতে চেয়েছিল যে এই বাজারগুলিতে বিক্রি করা স্যানিটাইজারগুলি কতটা ক্ষতিকারক রাসায়নিক দিয়ে তৈরি করা হয়।

১২০টি বোতলে পরীক্ষা চালায় সিজিএসআ।এই পরীক্ষায় জানা যায় স্যানিটাইজারটি নিরাপদ কিনা । রিপোর্ট জানায়, দীর্ঘদিন ধরে যেসব কোম্পানি হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে আসছে, তাদের তৈরি পণ্যটি নিরাপদ হলেও, নতুন নতুন কোম্পানির বেশিরভাগ স্যানিটাইজারই বিপদে ফেলতেপারে। অনেক স্যানিটাইজারেই মিথাইল মিলেছে,। এই মিথাইল কোনও ব্যক্তিকে প্রচন্ড অসুস্থ করে তুলতে পারে। বমি, মাথায় যন্ত্রণা, দৃষ্টিহীনতা, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত ঘটনা ঘটতে পারে। এমনকি কোমাতেও যেতে পারেন ওই ব্যক্তি। সিজিএসআই বলছে কোনোভাবেই যেন মিথাইল বেসড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা না হয়।

সিজিএসআই-য়ের পরামর্শ স্যানিটাইজার বুঝে কিনুন। তবে বাড়িতে থাকলে স্যানিটাইজার ব্যবহার না করে ডিটারজেন্ট বা সাবান ব্যবহার করুন, যা অনেক বেশি নিরাপদ।

Back to top button