মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে বিজেপির নেতা-নেত্রীদের কটূক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে গতকাল শুক্রবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলায় পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আগামী সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত হাওড়ায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার ঘোষণা দেয় রাজ্য সরকার।
এমতাবস্থায় হাওড়ারকাণ্ডে পদ্মশিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগেও বলেছি, দুদিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে । এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে এবং তারা দাঙ্গা করাতে চায়- কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এ সবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?”
<blockquote class=”twitter-tweet”><p lang=”bn” dir=”ltr”>আগেও বলেছি, দুদিন ধরে হাওড়ার জনজীবন স্তব্ধ করে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানো হচ্ছে । এর পিছনে কিছু রাজনৈতিক দল আছে এবং তারা দাঙ্গা করাতে চায়- কিন্তু এসব বরদাস্ত করা হবে না এবং এ সবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হবে। পাপ করল বিজেপি, কষ্ট করবে জনগণ?</p>— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) <a href=”https://twitter.com/MamataOfficial/status/1535511815848726529?ref_src=twsrc%5Etfw”>June 11, 2022</a></blockquote> <script async src=”https://platform.twitter.com/widgets.js” charset=”utf-8″></script>
প্রসঙ্গত,দিল্লির বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার সাম্প্রতিক বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটি এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে রাস্তা অবরোধ করা হয়। এর জেরে জাতীয় সড়কে আটকা পড়ে অনেক গাড়ি। অবরোধ শুরু হয় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে। টায়ার জ্বালিয়ে ১১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। এর জেরে দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ।
ওই ঘটনার পর শুক্রবারও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ছিল হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায়। চেঙ্গাইলে রেল অবরোধের জেরে হাওড়া-খড়গপুর শাখায় দীর্ঘক্ষণ বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। উলুবেড়িয়া মনসাতলায় বিজেপি গ্রামীণ অফিস ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিজেপিকর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। পাঁচলায় দফায় দফায় অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।
পরে ডোমজুর থানাতেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ধুলাগড়ে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয় অবরোধকারীদের। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের একাংশের বিরুদ্ধে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। উত্তপ্ত ছিল সলপের পরিস্থিতিও।
রাজ্যের মুখ্যসচিব জানান, পরিস্থিতি সামলাতে আপাতত সোমবার সকাল পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।