নিউজ

ফেসবুক কর্মীদেড় কাছে প্রধানমন্ত্রীর অসম্মান, জুকারবার্গকে চিঠি আইনমন্ত্রীর

ফেসবুক নিয়ে শাসক দলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছেই। যেখানে বিরোধীরা অভিযোগ করছে, শাসক দল বিজেপির প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে ফেসবুক, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অসম্মান করেছে ফেসবুকের কর্মীরা। তার প্রমাণ রয়েছে। এই অভিযোগ তুলে ধরে মার্ক জুকারবার্গকে চিঠিও লিখেছেন ।

রবিশঙ্কর প্রসাদ চিঠিতে লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে খারাপ কথা বলার পরেও ফেসবুকের ভাল পদে রয়েছেন অনেকে। তিনি লিখেছেন, “সম্প্রতি অনেক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে কিছু লোক সামাজিক ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার জন্য ও অশান্তি ছড়ানোর জন্য অনেক কিছু করেছেন। কিন্তু এখনও সেই সব লোকদের বিরুদ্ধে কোনও রকমের ব্যবস্থা নিতে আমরা দেখিনি। এই কাজের পিছনেও কি সেই দলরা রয়েছে, যারা ভারতে রাজনৈতিক অশান্তি ও অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করে?”

আইনমন্ত্রী আরও লেখেন, “২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে ফেসবুকের তরফে ক্রমাগত বিজেপির বিভিন্ন পেজ বন্ধ করে দেওয়া ও তাদের রিচ জনসাধারণের মধ্যে কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের শাসকদলের আদর্শে বিশ্বাসী লোকেদেরও ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সমস্যা করা হয়েছে। ফেসবুক ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর থেকে অনেক সিনিয়র আধিকারিক একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নির্দেশ কাজ করেছেন। এর অনেক প্রমাণ রয়েছে।”

রবিশঙ্কর প্রসাদ চিঠিতে আরও লিখেছেন, “কিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা মানুষের সমর্থন হারিয়েছেন। গণতান্ত্রিক ভাবে মানুষের সমর্থন হারানোর পরে তারা সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করছে। মানুষের মধ্যে বিভাজন ছড়ানোর ও সমাজে অশান্তি ছড়ানোর জন্য তাদের নতুন অস্ত্র হল ফেসবুক।”। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির সামনে হাজির হওয়ার কথা ফেসবুক প্রতিনিধির।

জুকারবার্গকে রবিশঙ্কর প্রসাদ জিজ্ঞাসা করেছেন , “যেভাবে তথ্যের বিকৃত ঘটেছে এবং নির্দিষ্ট কিছু মাধ্যমে আপনার কোম্পানি থেকে খবর বাইরে বেরিয়ে একটা অন্য রকমের ঘটনা মানুষের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে তার অন্য কোনও যুক্তি থাকতে পারে কি? এভাবে ফেসবুকের ব্যবহার দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ক্ষতি করছে। অন্য দেশের মিডিয়ারও তাতে ইন্ধন রয়েছে।” এই সব কারণে দেশভিত্তিক আলাদা গাইডলাইন তৈরি করার জন্য জুকারবার্গের কাছে আবেদন করেছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ।

Back to top button