সরকার গঠন করতে গিয়ে বেকায়দায় লঙ্কান নতুন প্রধানমন্ত্রী, বিক্ষোভ অব্যাহত দেশজুড়ে
সংকটের মধ্যে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ রনিল বিক্রমাসিংহে। এবার তিনি সরকার অর্থাত্ অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে হিমশিম খাচ্ছেন। এদিকে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে দেশটিতে এখনো বিক্ষোভ চলছে। শুক্রবার (১৩ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
রাজধানী কলম্বোতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সামনে এখনো শত শত মানুষ বিক্ষোভ করছেন। এরা আগে রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে সেখানে স্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়।
চামালগে শিবকুমার নামে একজন বিক্ষোভকারী বলেন, শ্রীলঙ্কার মানুষ যখন ন্যায় বিচার পাবে তখন আমরা লড়াই বন্ধ করবো। যাকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হোক না কেন মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি না হলে আমরা থামবো না।
বিক্রমাসিংহে হচ্ছেন ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির একমাত্র আইনপ্রণেতা। সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বিরোধীদের ওপর নির্ভর করতে হবে তাকে।
দেশটির বর্তমান সংসদে ২২৫টি আসন রয়েছে। যার মধ্যে ১০০টি রাজাপাকসে নেতৃত্বাধীন দলের নিয়ন্ত্রণে। বিরোধীদের রয়েছে ৫৮টি আসন। বাকি আসনগুলো স্বতন্ত্রপ্রার্থীদের।
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর ঐক্যেরভিত্তিতে সরকার গঠন করতে চান বিক্রমাসিংহে। তবে এক্ষেত্রে প্রথমেই হোঁচট খেয়েছেন তিনি। কারণ বিরোধী দলের একজন সিনিয়র নেতা অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে অস্বীকার জানিয়েছেন।
জানা গেছে, বিরোধী সংসদ সদস্য হার্শা ডি সিলভা প্রকাশ্যে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারণ তিনি প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চান।
তিনি বলেন, মানুষ রাজনৈতিক খেলা ও চুক্তি পছন্দ করছে না। তারা একটি নতুন ব্যবস্থা চায়, যা তাদের ভবিষতকে সুরক্ষিত করবে।
ব্যাপক বিক্ষোভ-সহিংসতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন গোতাবায়া রাজাপাকসের বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে। এক সপ্তাহ ধরে চলা আন্দোলেনে নিহত হন আটজন ও আহত হন কমপক্ষে ৩০০ জন।