বৃহস্পতিবার জঙ্গিদের গুলিতে খুন হয়েছেন কাশ্মীরি পণ্ডিত রাহুল ভাট। রাহুল ভাটের হত্যার ঘটনায় শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের বুদগাম জেলার প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পরিবার বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেছে।
কী ঘটেছে ঘটনা?
২০১০-১১ সালে জম্মু-কাশ্মীরে ফেরত্ আসা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য বিশেষ কর্মসংস্থান প্যাকেজের অধীনে কেরানির চাকরি পেয়েছিলেন রাহুল।
শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও যেটি কাশ্মীর উপত্যকার বুদগামের বলে দাবি করা হয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দেখা যাচ্ছে রাহুল ভাটের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখানো জনতার উপর লাঠিচার্জ করছে কাশ্মীরি পুলিশ। তাদের উপর টিয়ার গ্যাসের শেলও ছুড়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
রাহুল ভাটের হত্যার বিরোধিতা করে কী বলছেন সহকর্মীরা?
অমিত নামের একজন কাশ্মীরি পণ্ডিত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, এলজি প্রশাসনের উচিত আমাদের নিরাপত্তা দেওয়া, অন্যথায় আমরা আমাদের নিজ নিজ পদ থেকে গণ পদত্যাগ করব।
কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যা নিয়ে কী বললেন প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি?
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং পিডিপি প্রধান মেহবুবা মুফতি বলেছেন যে তিনি কাশ্মীরি পন্ডিতদের সমবেদনা প্রকাশ করতে বুদগাম যেতে চান। তবে, তাঁকে গৃহবন্দী করার পর থেকে তিনি কোথাও যেতো পারেননি। মুফতি আরও দাবি করেছেন, কাশ্মীরি মুসলমান এবং পণ্ডিতরা একে অপরের বেদনা নিয়ে সহানুভূতি প্রকাশ করে।
হত্যার দায় স্বীকার করল কাশ্মীরের একটি জঙ্গি সংগঠন!
বুদগামের রাজস্ব বিভাগের একজন কর্মচারী রাহুল ভাটকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। তাঁকে দ্রুত শ্রীনগরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। ‘কাশ্মীর টাইগার্স’ নামের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।