রাজ্য

‘অনেক কায়দা করে জিততে হয়েছে নন্দীগ্রাম’ বিরোধী দলনেতার ‘পর্দাফাঁস’ করলেন নেতারাই

নন্দীগ্রামে বিরোধী দলনেতার জয় নিয়ে শনিবার ‘পর্দাফাঁস’ করলেন প্রাক্তন দুই বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের ভোট পুনর্গণনা অথবা পুনর্নির্বাচনের জোরালো দাবি তোলেন তাঁরা। এদিকে তাঁদের এই সাংবাদিক সম্মেলন নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকেরই বক্তব্য, বিরোধী দলনেতা নন্দীগ্রামে তাঁর ‘ঐতিহাসিক’ জয়ের কথা শুধু রাজ্য কেন, দেশজুড়ে বলে বেড়ান। যদি তাঁর সত্যিই সেই জয় সম্পর্কে দৃঢ বিশ্বাস থাকে, তাহলে পুনর্গণনা বা পুনর্নির্বাচনের দাবি উঠলেই তিনি এড়িয়ে যান কেন? তিনি কি নিশ্চিত হারকে ভয় পাচ্ছেন? যদিও বিজেপি’র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, জয়প্রকাশ ও রাজীববাবু তৃণমূলে নিজেদের পদ বাঁচাতে ব্যস্ত। উল্টোপাল্টা চটকদার কথা না বললে তাঁদের পয়েন্ট থাকবে কী করে!

এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে গণনার দিনে বিরোধী দলনেতার একের পর এক ফোনের তথ্য ফাঁস করেন জয়প্রকাশ ও রাজীব। জয়প্রকাশবাবু দাবি করেন, বিকেল ৫টায় বিরোধী দলনেতা তাঁকে ফোন করে বলেন, আমি হেরে গিয়েছি। সেই লোকই আবার সন্ধ্যা ছ’টায় ফোন করে বলেন, আমি জিতে গিয়েছি। রাজীববাবুও বলেন, বিরোধী দলনেতা তাঁকে ফোন করে ওইদিন প্রথমে হেরে যাওয়ার কথা বললেও, পরে তিনি আবার বলেন, আমি জিতে গিয়েছি। কিন্তু অনেক কায়দা করে জিততে হয়েছে। বিধানসভা ভোটের গণনার দিন ছিল ২ মে। ওইদিনে বর্তমান বিরোধী দলনেতার বিভিন্ন কার্যকলাপ কেমন ছিল, এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে তার বিবরণ দেন সদ্য প্রাক্তন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশবাবু।

তাঁর দাবি ছিল, ২ মে বিকেল ৫টায় তাঁর মোবাইলে বিরোধী দলনেতার ফোন আসে। ফোনে বলেন, নন্দীগ্রামে তিনি হেরে গিয়েছেন। সেই অনুযায়ী পার্টির তরফ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। এরপর ফের সন্ধ্যা ছ’টায় তাঁকে ফোন করেন বিরোধী দলনেতা। জানান, তিনি নন্দীগ্রামে জিতে গিয়েছেন। জয়প্রকাশবাবু বলেন, যিনি নিজে ফোন করে বিকেল ৫টায় বললেন হেরে গিয়েছেন, তিনিই আবার কোন যাদুমন্ত্রবলে সন্ধ্যা ছ’টা বললেন, জিতে গিয়েছেন! প্রাক্তন বিজেপি নেতা রাজীববাবুও ঘটনার দিন তাঁর মোবাইলে আসা বিরোধী দলনেতার অদ্ভূত ফোনগুলির কথা এদিনকার সাংবাদিক সম্মেলনে জানান। তাঁর দাবি, বিরোধী দলনেতা তাঁকে বলেছিলেন, অনেক কায়দা করে আমায় জিততে হয়েছে। এছাড়াও এদিন তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য ৯০ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা আদায় না হওয়ার পিছনে বিরোধী দলনেতার হাত রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের গুঞ্জন। গেরুয়া শিবিরের দুই প্রাক্তন নেতার দাবি, বিজেপি’র অভ্যন্তরীণ বৈঠকে বিরোধী দলনেতা এমনও বলেন, অন্য কিছু করে লাভ নেই, বাংলাকে ভাতে মারতে হবে।

Back to top button